News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

রেকর্ড আমদানির পরও কমছে না ছোলার দাম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-12-22, 8:47am

img_20241222_084512-40345063b6c523bc99d676e324bc73c31734835630.jpg




আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকার সুযোগে ছোলা আমদানি হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ। কিন্তু তা সত্ত্বেও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজিতে নিয়ন্ত্রণে আসছে না ছোলার দাম।

রমজান সামনে রেখে গত সাড়ে পাঁচ মাসে ২০ হাজার ৩৬৫ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এটা ১৩৩ শতাংশ বেশি। আর ৯০০ মার্কিন ডলার থেকে বুকিং রেট কমে দাঁড়িয়েছে ৬৮০ ডলারে। অথচ দেশের বাজারে প্রতি কেজি ছোলা ১০৭ থেকে ১১৫ টাকা।

আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে প্রতি মেট্রিক টন ভালো মানের ছোলার বুকিং রেট ৬৮০ থেকে ৭০০ মার্কিন ডলার। সে অনুযায়ী দেশের বাজারে প্রতি কেজি ছোলার দাম হওয়ার কথা ৮৫ থেকে ৮৭ টাকা। কিন্তু পাইকারি পর্যায়ে সাধারণ মানের ছোলা ১০৭ থেকে ১১০ টাকা এবং ভালোমানের ছোলা ১১৩ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূলত মধ্যস্বত্বভোগী চক্রের কবলে পড়ে ছোলার দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স হাজী স্টোরের মালিক জয়নাল আবেদীন মিন্টু বলেন, ‘তাদের রসিদ দেয়ার কথা বললেও তারা রসিদ দেবে না। তারা বলবে, রসিদ দিতে পারবো না। এমনে ডেলিভারি নেন। যে দর ধরা হয়েছে সে দর অনুযায়ী বিক্রি করেন। পরে ভোক্তা অধিকারসহ সবাই বিরক্ত করে আমাদের, তাদের কাছে যাচ্ছে না।’

বছরে বাংলাদেশে ৭০ থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ছোলার চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র রমজান মাসেই ইফতারের অনুষঙ্গ হিসেবে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ছোলার প্রয়োজন হয়। তার বিপরীতে চলতি অর্থ বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ছোলা আমদানি হয়েছে ২০ হাজার ৩৫৬ মেট্রিক টন। অথচ তার আগের বছর এই সময়ে আমদানি হয়েছিল ৮ হাজার ৭৪৫ মেট্রিক টন। বুকিং রেট কম থাকার সুযোগে রেকর্ড আমদানি সত্ত্বেও বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিস্মিত শুল্ক কর্মকর্তারাও।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার মো. কাওসার আলম পাটোয়ারী বলেন, ‘প্রতি লেয়ারে সরকার যদি মনযোগ দেয় এবং ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে পারে, তাহলে আমার মনে হয় ছোলার দাম হাতের না নাগালে থাকবে।

একমাস আগেও আন্তর্জাতিক বাজারে ছোলার বুকিং রেট ছিল ৮৮০ থেকে ৯০০ মার্কিন ডলার। কিন্তু বুকিং রেট কমলেও দেশের বাজারে দাম না কমার কারণ হিসেবে নানা অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে এলসি খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোতে ডলার মূল্য ১২০ থেকে ১২৩ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মেসার্স এফ এম ট্রেডার্সের মালিক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘সামনে কম বুকিংয়ে ছোলা আসবে। তখন বুকিং হবে ৬৮০ থেকে ৭০০ ডলারে। আর তখন বাজারে দাম কমে যাবে।’

মেসার্স সালমা ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার জুয়েল মহাজন বলেন, ‘আগামী একমাসের মধ্যে সরবরাহ বেড়ে যাবে; আর তাতে ছোলার দাম কমে যাবে। রোজার আগেই ছোলার দাম একশ টাকার নিচে নেমে যাবে বলে আমরা আশা করছি।’

অস্ট্রেলিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চাহিদার ৮০ শতাংশ ছোলা আমদানি করা হয়। বাকি ছোলা ভারত থেকে আমদানি হয় স্থলবন্দর দিয়ে। সময়।