News update
  • Prof Yunus back home after his week-long Doha, Rome visits     |     
  • 5 of a family burn injuried in Gazipur gas cylinder blast      |     
  • River erosion threatens south Padma Bridge Project Site     |     
  • Dr Kamal urges vigilance on his 88th birthday      |     
  • Dhaka’s air ‘moderate’ for the second day on Sunday     |     

থামছে না তেল নিয়ে তেলবাজি, সবজিতে স্বস্তি থাকলেও চালে অস্বস্তি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-03-14, 1:02pm

rwwerwr-c249aa449588aadc3efa8309c52796bc1741935731.jpg




নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলে বছরজুড়েই। কখনও অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, আবার কখনও বাজার থেকে পণ্য উধাও। এভাবেই সিন্ডিকেট করে ভোক্তাদের পকেট কাটে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বছরের শুরু থেকেই তেল নিয়ে তেলবাজি চলছে। বোতলজাত তেল কিছুদিন পরপর উধাও হয়ে যায়। যদিও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। চাহিদা অনুসারে সরবরাহ পুরোপুরি ঠিক হয়নি। তবে স্বস্তির খবর, চলতি বছরের শুরু থেকেই নিম্নমুখী নিত্যপণ্যের বাজার। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রোজার শুরুর সময় কেনাকাটার বাড়তি চাপ থাকে। তবে এবার এ সময় পণ্যের সরবরাহ থাকায় দাম মোটামুটি ক্রেতার নাগালের মধ্যে। কিছুকিছু ব্যবসায়ী সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয়ে দেন। তবে চাহিদা কিছুটা কমায় দামও কমেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সবজিপণ্যের মধ্যে বেগুন, মরিচ, শসা ও টমেটোর দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে  কেজিপ্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৯০ টাকায়, শসার ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ২০-২৫ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের শুরু থেকেই লেবুর দাম চড়া। আজ এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকায়।

এ ছাড়া আলু ও পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই কম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে আলু ও পেঁয়াজের মৌসুম থাকায় সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। এ কারণে দাম কম।

বাজার করতে আসা আবুল হাসান বলেন, গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা কম। কারণ, শীতের সবজিগুলো বাজারে এখনো রয়েছে। তবে চাল, তেল অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। আশা করি, সরকার এই বিষয়টার সমাধান করবে তাড়াতাড়ি।

এদিকে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে। এক কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৮০-২১০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

গরু ও খাসির মাংসের দাম কমেনি, বরং বড়েছে। প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তবে অস্থির রয়েছে মাছের বাজার। বর্তমানে প্রতি কেজি চাষের রুই (দুই কেজি আকারের) ৩৫০-৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং ৪৫০ টাকা ও চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১২০০ টাকায়।

এখনও চালের বাজারে অস্বস্তি রয়ে গেছে। সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। ২৮ জাতের চাল ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।আরটিভি