তরমুজ গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও কৃষিবিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে এখন দেশে বারোমাসই এ ফল পাওয়া যায়। বাজারে এখন মৌসুমী তরমুজের পাশাপাশি দেখা মিলছে গাঢ় সবুজ বা কালচে রঙের কারিশমা তরমুজ। বারোমাসি এ তরমুজ খাওয়া কি উপকারী, কী বলছে পুষ্টিবিদরা জানেন?
হাইব্রিড বারোমাসি কারিশমা জাতের তরমুজের ভেতরটা মূলত লাল রঙের হয়। খেতেও হয় দারুণ রসালো।
এ ধরনের তরমুজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন,তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও আঁশ আছে। এগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু প্রকৃতিগত কারণে সারাবছর এ ফল পাওয়া যেত না। কিন্তু কৃষিবিজ্ঞানের উন্নয়নে এখন সারাবছরই তরমুজ চাষ সম্ভব হচ্ছে।
হাসান আলী আরও বলেন,কারিশমা জাতের হাইব্রিড জাতের তরমুজ সারাবছরই চাষ করা যায়। পাশাপাশি এ ধরনের চাষে অল্প সময় ও অল্প খরচে অধিক লাভবান হতে পারে কৃষকরা।
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ ও সি, ক্যারোটিনয়েডস, লাইকোপিন ও কিউকারবিটাসিন ই আছে। এছাড়া উপকারী খনিজ ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি রয়েছে ফলটিতে।
উপকারিতা
তাই আসুন, গ্রীষ্মের এ মৌসুমে মৌসুমী তরমুজের পাশাপাশি বারোমাসি তরমুজের স্বাদ উপভোগ করি। এবং জেনে নিই তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-
১। তরমুজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে।
২। তরমুজে প্রচুর আঁশ আছে, যা হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
৩। তরমুজের অ্যামিনো অ্যাসিড, সিট্রুলাইন পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ও রক্তনালি প্রসারিত করে। এতে রক্ত সহজে পাম্প হয়।
৪। তরমুজের বেশ কিছু পুষ্টিগুণ চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
৫। তরমুজ পানি ও মিনারেলের ভালো উৎস। যা শরীরকে পানিশূন্যতার সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
৬। তরমুজের রসে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
৭। তরমুজে থাকা ভিটামিন বি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও স্নায়ুকে সুরক্ষিত রাখে।
সাবধানতা
তরমুজ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়ায়। এজন্য যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের এ ফলটি বেশি না খাওয়াই ভালো।
তরমুজে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় যাদের কিডনি সমস্যা বা কিডনিজনিত রোগ আছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তরমুজ খাবেন না।