চালের বাজারে অস্থিরতার মধ্যেই করপোরেট খাতকে মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভোক্তা অধিদফতর। ৩০ দিনের মধ্যে কার্যকর না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
রোববার (১৩ জুলাই) কারওয়ানবাজারে মতিবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
ধানের জাত নেই; অথচ মিনিকেট চালে সয়লাব বাজার। মূলত মোটা চাল ছাঁটাই ও পলিশ করে মিনিকেট নামে বাজারজাত করা হচ্ছে। ৮৫ টাকা কেজি দরে এই চাল কিনে ঠকছেন ভোক্তা।
এ অবস্থায় মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করা প্রতারণার সামিল উল্লেখ করে তা সরবরাহ বন্ধে কয়েক দফায় উদ্যোগ নেয় সরকার। যদিও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে মিনিকেট চাল নিয়ে আবারো নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানালো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
ভোক্তার ডিজি বলেন, মিনিকেট বাজারজাত বন্ধ করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে কার্যকর না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে ধানের প্রকৃত নামেই চাল বাজারজাত করার প্রতিশ্রুতি দেয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এক্ষেত্রে কৃষক ও মিল পর্যায়ে ধানের জাতের সত্যতা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
আকিজ ফুডের সাপলাই চেইন প্রধান তোফায়েল হোসেন বলেন, ধান গবেষণার তথ্য অনুযায়ী মিনিকেট বলে কিছু নেই। কিন্তু কৃষক মিনিকেট চাষ করছে, বিক্রি করছে, ট্রেডাররা মিনিকেট বিক্রি করতেছে। আমরা মিনিকেট ক্রয় করছি এবং মিনিকেট চাল বিক্রি করছি।
এমন দাবির মুখে প্রতিটি জেলায় ডিসিদেরকে অননুমোদিত চাল সরবরাহ ঠেকাতে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানান ভোক্তার ডিজি।