News update
  • Can Dhaka’s arms recovery drive ensure peaceful polls?     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Monday morning     |     
  • BD peacekeepers' deaths: UN chief calls Dr. Yunus, offers condolence     |     
  • Bangladesh Plans Rockets, Satellites, and Space Industrial Park     |     
  • India willing to work together inspired by shared sacrifices of past     |     

কাঁচা মরিচের কেজি ৬০০ টাকা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-10-05, 7:19am

rtertertert-319917813b198588054156b1b64e33941759627175.jpg




খুলনায় হঠাৎ আকাশছোঁয়া দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের; বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজিতে। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস অবস্থা।

শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সরেজমিনে খুলনার ময়লাপোতা বাজারে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। প্রকার ভেদে বাজারের বিভিন্ন দোকানে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।

মোটা বড় আকারের কাঁচা মরিচ, যেটি বরজের ঝাল হিসেবে পরিচিত, সেটি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা কেজি দরে। কেউ দাম জানতে চাইলে বিক্রেতারা কেজি হিসেবে নয় দাম বলছেন পোয়া (২৫০ গ্রাম)  হিসেবে। প্রতি পোয়ার দাম চাইছেন ১৫০ টাকা করে। কিছুটা ছোট আকারের বরজের মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা পোয়া অর্থাৎ ৪৮০ টাকা কেজি দরে। বিভিন্ন দোকানে দেশি মরিচও বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা কেজি দরে।

এ দিকে এ বিষয়ে গৃহবধূ নার্গিস বেগম বলেন, ‘আধা কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে বিক্রেতার কাছে দাম জানতে চাইলাম। বিক্রেতা মোখলেসুর রহমান ৩০০ টাকা দিতে বলেন। এরপর দুদিন আগেই তো ২৪০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম জানালে তিনি তর্ক শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত ওই টাকা দিয়েই মরিচ কিনতে হয়েছে আমাকে।’

তবে বাজারে মরিচের এমন দাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতা মুন্সীপাড়া এলাকার সাব্বির হাসান বলেন, ‘মরিচের দাম শুনে আমি হতবাক। এত দাম হতে পারে আমি ভাবতেও পারিনি। আধা কেজি মরিচ কিনতে এসেছিলাম, কিন্তু এক পোয়া কিনেছি।’

আরেকজন ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক কেজি আপেল কিনলাম ৩০০ টাকা দিয়ে, আর সেই একই দামে কাঁচা মরিচ পেলাম আধা কেজি।’

বিক্রেতাদের দাবি, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় মরিচের সরবরাহ খুবই কম, এ জন্য দাম বেশি।

ময়লাপোতা বাজারের বিক্রেতা আবু সাঈদ বলেন, ‘আমাদের তো কিছু করার নেই, আড়ৎ থেকে আমরা যেভাবে কিনতেছি, সেভাবেই বিক্রি করতেছি। আড়তে দুই মণ কাঁচা মরিচ কিনতে চাইলে পাচ্ছি এক মণেরও কম। তা ছাড়া টানা বৃষ্টিতে দেশি মরিচও আসতে পারছে না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে পাঁচদিন বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিলো। প্রতিদিন এসব বন্দর থেকে ৫ থেকে ৬ ট্রাক কাঁচা মরিচ আমদানি হয়। তবে গত পাঁচদিনে কোনো মরিচ আমদানি হয়নি। তাই বাজারে ভারতীয় কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম ছিলো। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে ফের শুরু হয়েছে আমদানি-রফতানি। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন রোববার (৫ অক্টোবর) বা সোমবার (৬ অক্টোবর) মরিচের আমদানি শুরু হলে দুই-তিন দিনের মধ্যে কমে আসবে দাম।