News update
  • Reported massacre at hospital in Sudan’s El Fasher leaves 460 dead     |     
  • DSE to complete IPO process within 6 months: MD     |     
  • Prof Yunus asks for simplifying reform report for people     |     
  • Forces from inside-outside may work to thwart polls: Prof Yunus     |     
  • NCC for referendum, after July Charter order promulgation     |     

টিসিবি'র কার্যক্রমে তদারকি নেই, ফ্যামিলি কার্ড এক্টিভেট না থাকার অজুহাত

খাদ্য 2025-10-21, 10:11pm

food-items-on-sale-through-the-trading-corporation-of-bangladesh-tcb-78241678bfd15727e8113260e49bcf031761063063.jpg

Food items on sale through the Trading Corporation of Bangladesh (TCB).



পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তদারকির অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের টিসিবি'র কার্যক্রম। ফ্যামিলি কার্ড এক্টিভেট না থাকার অজুহাতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর সুবিধার আওতায় আসছেনা দুই তৃতীয়াংশ উপকারভোগী পরিবার। এতে নিত্য পন্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে উপকারভোগী পরিবারের মাঝে নির্ধারিত মূল্যে নিত্য পন্য সরবরাহে টিসিবি'র পরিচালিত কার্যক্রম কোন কাজে আসছে না।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় কলাপাড়া পৌরসভার সামনে দেখা যায় টিসিবি'র পন্যবাহী মিনি ট্রাক জনশূন্য দাড়িয়ে আছে। টিসিবি'র ডিলার ও তার কর্মচারীরা অলস সময় পার করছেন। একটু সময় পরে দেখা যায় দু'একজন উপকারভোগী আসতে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত মোট ৩৩জন উপকারভোগীকে পন্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। এছাড়া পৌরসভার কয়েকজন কর্মচারীদের কক্ষে টিসিবি'র পন্য দেখা গেছে। তাদের বক্তব্য, তাদের কাছে উপকার ভোগী পরিবারের সদস্যরা কার্ড দিয়ে গেছে। এবং তাদের পন্য ছাড়িয়ে রেখেছেন, যা তারা এসে নিয়ে যাবেন। তবে এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারকে দেখা যায় নি।

সূত্র জানায়, কলাপাড়া পৌরসভার টিসিবি'র উপকারভোগী তালিকা তৈরীতে ব্যাপক স্বজন প্রীতি, অনিয়ম করা হয়েছে। সাবেক মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ তাদের ভোটের রাজনীতির স্বার্থে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের নাম বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দ মতো তালিকা তৈরী করেছেন। সেই তালিকা দিয়ে এখনও চলছে টিসিবি'র কার্যক্রম।

সূত্রটি আরও জানায়, কলাপাড়া পৌরসভায় টিসিবি'র তালিকাভুক্ত পরিবারের সংখ্যা ১৭৭০। এর মধ্যে ৩২০ জনের ফ্যামিলি কার্ড এক্টিভেট রয়েছে, বাকি কার্ডগুলো এখনও এক্টিভেট হয়নি। প্রতিমাসে উপকারভোগী পরিবার কার্ডের মাধ্যমে একবার ৫ কেজি চাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি ডাল, এক কেজি চিনি কিনতে পারছেন ৫৪০ টাকা প্যাকেজ মূল্যে। প্রতি মাসেই টিসিবি ডিলার পণ্য বোঝাই ট্রাক নিয়ে এলেও অধিকাংশ পণ্য ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। তবে অনেক ব্যবসায়ীর কাছে গোপন সখ্যতায় পন্য বিক্রির গুঞ্জন থাকলেও টিসিবি ডিলার বলছেন তারা ফেরত পন্য টিসিবি গুদামে জমা দিয়ে দিচ্ছেন।

এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় পৌরসভার সামনে টিসিবি'র পণ্য বিতরণ করা হয়, যা চলে সন্ধ্যে পর্যন্ত। ওইদিন ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে এসেও পণ্য না পেয়ে ফিরে যান ৫ নং ওয়ার্ডের দিনমজুর সুবাস সিকদার (৭৭), রজনী সিকদার (৫৫), তপন কুমার দাস (৬২)। 

এ বিষয়ে টিসিবি'র ডিলার শাওন শামসুদ্দোহা ট্রেডিং এর কর্ণধার মো. শাওন বলেন, আজ ২১ অক্টোবর বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত ১১০ জন উপকার ভোগী নির্ধারিত প্যাকেজ মূল্যে টিসিবি'র পণ্য সংগ্রহ করেছেন। বিতরন কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা সন্ধ্যে নাগাদ পর্যন্ত চলবে। গত মাসে পন্য বিতরন করেন অপর ডিলার মো. হুমায়ুন কবির। 

শাওন আরও বলেন, যাদের কার্ড এক্টিভেট করা নাই তাদের পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।  ফেরত পন্য নিয়ে টিসিবি গুদামে জমা রাখা হবে। 

কলাপাড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা কাব্যলাল চক্রবর্তী বলেন, পৌরসভার টিসিবি'র কার্যক্রম তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওয়ালি উল্লাহ। তিনি এ বিষয়ে ভালো জানেন। 

কলাপাড়া ইউএনও  ও পৌরসভার প্রশাসক মো. কাউছার হামিদ বলেন, 'আমি সরকারী প্রশিক্ষণে গোপালগঞ্জ রয়েছি। টিসিবি'র কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখছি।' - গোফরান পলাশ