
তথ্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় সবাই কমবেশি জানেন শরীরের জন্য কোন খাবারটি স্বাস্থ্যকর আর কোনটি অস্বাস্থ্যকর। অনেক খাবার আছে যেগুলো এককথায় সবাই ভেবে নিচ্ছে এগুলো শরীরের জন্য ভালো কিন্তু আদৌ কী ভালো? বিষয়টি জানালেন আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয় এক চিকিৎসক।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে সে সব খাবার নিয়ে সতর্ক করলেন হার্টের চিকিৎসক সঞ্জয় ভোজরাজ। তিনি ৫টি খাবার থেকে দূরে থাকেন। সেগুলোর সতর্কতা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
১. বীজের তেল: ক্যানোলা, সয়াবিন, কর্ন অয়েলের মতো তেলগুলো শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই তেলগুলো পরিশোধন করার পর এবং গরম করার পর অক্সিডাইজ হয়ে ধীরে ধীরে ধমনিতে এবং কোষে প্রদাহের সৃষ্টি করে। চিকিৎসক বছর কয়েক আগেই এই তেলগুলোর বদলে অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো অয়েল, ঘি ইত্যাদি ব্যবহার করেন।
২. ডায়েট ফুড: ডায়েট ফুড বা জিরো সুগার লেখা খাবারগুলোতে কৃত্রিম চিনি মেশানো থাকে। যেগুলো স্বাস্থ্যকর হলেও শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। চিকিৎসকের বক্তব্য, এগুলো মস্তিষ্ক ও অন্ত্রে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। মস্তিষ্ক ভাবতে থাকে এই খাবারে চিনি আছে, কিন্তু আসলে তা নেই। এই বিভ্রান্তি থেকেই শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে মিষ্টির প্রতি আকাঙ্ক্ষা আরও বাড়ে।
৩. ফ্লেভারড ইয়োগার্ট: দেখে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও ফ্লেভার দেয়া ইয়োগার্টগুলোতে বেশি পরিমাণে চিনি থাকে। তার বদলে কেবল গ্রিক ইয়োগার্ট খেলে বরং শরীরের পক্ষে তা ভাল। এমনই মত চিকিৎসকের।
৪. প্রোটিন বার: প্রোটিন বারকে সঞ্জয় ‘ক্যান্ডি বার’-এর সমকক্ষ বলে মনে করেন। কারণ এগুলো তৈরি হয় বীজের তেল এবং সিরাপ দিয়ে। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করে। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে বাদাম এবং ডিম খাওয়া ভাল।
৫. সবজির চিপস: নামে সবজি কিন্তু এগুলো ভাজা হয় সেই একই ক্ষতিকর তেলে, যা প্রদাহ বাড়ায়। মুচমুচে খাবার খাওয়ার চাহিদা তৈরি হলে মিষ্টি আলুর টুকরো বেক করে খেয়ে নিতে পছন্দ করেন চিকিৎসক।