News update
  • অতিথি পাখির বিচরণ আর দুষ্টুমিতে নান্দনিক হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার চর বিজয়      |     
  • Remittance inflow exceeds $632 million in first six days of Dec     |     
  • 18 migrants die as inflatable boat sinks south of Greek island of Crete     |     
  • TIB for polls manifesto vows to curb misuse of powers and religion     |     
  • Khaleda now not fit for travelling: Medical Board     |     

হাটে তোলা বেশিরভাগ ইলিশের পেটেই ডিম, প্রজনন মৌসুম নিয়ে প্রশ্ন!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-11-13, 9:50am

5t4653453-74bfc9dfb6b5f98436c4825b674b31ef1763005828.jpg




মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম আড়তে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। নানা সাইজের ইলিশে ভরপুর হাট। তবে ছোট-বড় অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম। তাই প্রজনন মৌসুম নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৎস্যজীবীরা।

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম মাছ আড়তে এখন ইলিশের সোনালি সময়। সরজমিনে আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশা ভেদ করে কার্তিকের ভোরে জেলেরা ট্রলার ভর্তি ইলিশ নিয়ে ভিড়ছেন আড়তে, চারদিকে ঝলমল করছে রুপালি আভা। নানা সাইজের ইলিশে ভরে গেছে আড়ত।

সরবরাহ বাড়ায় জমজমাট ইলিশের বাজার। আর সেই ইলিশের স্বাদ নিতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বেচাকেনাও তুঙ্গে। তবে চাহিদা বাড়ায় দুই দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়, দেড় কেজির ইলিশে দর উঠছে কেজিপ্রতি ২ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে ১৫০ থেকে ২০০ গ্রামের ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে; তবু কমছে না দাম। উল্টো সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আড়তদাররা বলছেন, সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় দাম কিছুটা চড়া। মিরকাদিম মৎস্য আড়ত সমিতির সভাপতি আল হেলাল রয়েল বলেন, ‘এখন ইলিশের সময়। সরবরাহ বেড়েছে, কিন্তু মানুষও বেশি কিনছে। এতে দাম একটু চড়া মনে হলেও বাজার স্বাভাবিক আছে।’

এদিকে বাজারে আসা ছোট-বড় প্রায় সব ইলিশের পেটেই ডিম থাকায় প্রজনন মৌসুম নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। তাদের অভিযোগ, সরকারি নিষেধাজ্ঞা ২৫ অক্টোবর শেষ হলেও এখনো ইলিশ পুরোপুরি ডিম ছাড়েনি। ফলে প্রজননের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

আর বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রজনন মৌসুমের সময়সীমা আরও বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ধারণ করা না হলে আগামী বছর ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান, ইলিশ মিষ্টি পানিতে আসে মূলত ডিম ছাড়তে। তখনই ধরা পড়ে। তবে মিঠা পানির বেশির ভাগ ইলিশের পেটেই ডিম থাকে। তবে প্রজনন মৌসুমের ২২ দিনে এই ডিমের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি, ৮০ শতাংশের বেশি।

উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জে গত মৌসুমে মোট মাছ উৎপাদন হয়েছিল ৩১ হাজার ৩৪৮ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ইলিশ উৎপাদন ছিল ৭৯০ মেট্রিক টন কম।