পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ চার বছর স্বেচ্ছা-নির্বাসনে থাকার পর শনিবার দেশে ফিরেছেন। আর মাত্র কয়েক মাস পরই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ দুবাই থেকে তার চার্টার্ড বিমানে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। দুবাই অবস্থানকালীন তিনি দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে তার আইনজীবীদের মাধ্যমে আপিল দায়ের করেছিলেন। দেশে ফিরেই নওয়াজ শরিফ জন্মস্থান লাহোরে তার পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ পার্টি বা পিএমএল-এন আয়োজিত একটি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সমাবেশে ভাষণ দিতে যান।
২০১৯ সালে দুর্নীতির দায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করার সময় পাকিস্তানের একটি আদালত নওয়াজ শরিফকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি দেয়। শর্ত ছিল, তিনি তার জেলের মেয়াদ শেষ করার জন্য চার সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসবেন। তিনি সেই চুক্তি অমান্য করেন। এরপর তাকে পলাতক ঘোষণা করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ২০১৭ সালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং তাকে সরকারি পদে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য শক্তিশালী পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছিল। পাকিস্তানের ফেডারেল আদালত বৃহস্পতিবার এক বিরল রায়ে নওয়াজ শরিফকে সুরক্ষামূলক জামিন দেয়। মঙ্গলবার আদালতে হাজির না হওয়া পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা থেকে বিরত রাখতে বলা হয়।
২০২২ সালের এপ্রিলে সাবেক ক্রিকেট তারকা ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে।
দুবাই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক দাবি করে বলেন, তার দল "দেশের সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট সক্ষম।" ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।