News update
  • BNP senses ‘dangerous conspiracy’ against democratic transition     |     
  • CEC Vows Credible Election to End Stigma     |     
  • High-level meeting reviews country’s economic progress     |     
  • Dhaka suspends visa, consular services at its Delhi, Agartala Missions     |     
  • Govt to cut savings certificate profit rates from January     |     

বিতর্কে দুর্বল বাইডেন কারণ দেখালেন ভ্রমণ ক্লান্তির

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক গনতন্ত্র 2024-07-03, 3:13pm

rgdsgsdgs-2318fcf571348dea53cef87c48470aeb1719998007.jpg




যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে তার দুর্বল বিতর্কের জন্য ভ্রমণ জনিত ক্লান্তিকেই দায়ী করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন নির্বাচনি বিতর্কের আগে বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি ভ্রমণের কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন এবং এ কারণে তাকে ‘খুব বেশি স্মার্ট’ দেখা যায়নি। “আমি আমার কর্মকর্তাদের শুনিনি...এবং এরপর মঞ্চেই প্রায় ঘুমিয়ে পড়ছিলাম,” বলেছেন তিনি।

একাশি বছর বয়স্ক মি. বাইডেন তার শেষ ভ্রমণ শেষ করেছিলেন গত পনেরই জুন, যা সাতাশে জুনের অন্তত দুই সপ্তাহ আগে।

মি. বাইডেনের মন্তব্য এমন সময় আসলো যখন তার দলের অভ্যন্তরেই নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং টেক্সাসের একজন ডেমোক্র্যাটিক দলীয় কংগ্রেসম্যান তাকে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোরও আহবান জানিয়েছেন।

“আমি আশাবাদী তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বেদনাদায়ক ও কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন,” লয়েড ডগেট মঙ্গলবার বলেছেন এক বিবৃতিতে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বৃহস্পতিবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের সময় কিছু ক্ষেত্রে জবাব দিতে সংগ্রাম করতে দেখা গেছে।

“এটা কোনো অজুহাত নয়, তবে এটি একটি ব্যাখ্যা,” মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়ায় একটি ব্যক্তিগত তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বলছিলেন তিনি।

তিনি তার পারফরমেন্সের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন তার পুনরায় নির্বাচিত হবার জন্য এটি সহায়ক নয়।

মি. বাইডেন গত মাসে দুই সপ্তাহে ইউরোপে দুটি আলাদা ভ্রমণে গিয়েছিলেন।

ইতালি থেকে রাতভর ভ্রমণ করে ফিরে এসে পনেরই জুন তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ওই দিনই তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরে আসেন।

এর আগে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বিতর্কের দিন মি. বাইডেন ঠান্ডায় আক্রান্ত ছিলেন।

তবে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নিজে তার কোনো অসুস্থতার কথা বলেননি। হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র বলেছেন বিতর্কের সময় তিনি ঠান্ডার কোনো ওষুধ সেবন করেননি।

মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিতর্কের প্রস্তুতি নিতে মি. বাইডেন ক্যাম্প ডেভিডেও ছয় দিন কাটিয়েছেন। এটি ওয়াশিংটন ডিসির বাইরে প্রেসিডেন্টের অবকাশ কেন্দ্র।

মি. বাইডেনের শিডিউল বা দৈনিক কর্মসূচির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে প্রেসিডেন্টের দিন শুরু হয় বেলা এগারটায় এবং প্রতিদিন ঘুমের জন্য সময় পান।

পত্রিকাটি আরও বলেছে যে তিনি ভ্রমণের কারণে খুবই ক্লান্ত ছিলেন যে কারণে বিতর্ক প্রস্তুতি দুই দিন কমিয়ে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিলো, যাতে করে তিনি ডেলাওয়ারে তার বাড়িতে বিশ্রাম নিতে পারেন।

মি. বাইডেনের একজন মুখপাত্র অ্যান্ড্রু বেটস বলেছেন ক্যাম্প ডেভিডে ব্যায়ামের পর প্রেসিডেন্ট নিয়মিতই এগারটার আগে কাজ শুরু করেছেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তার বয়স অনেক দিন ধরেই আলোচনার একটি বিষয়। বেশ কয়েকটি জনমত জরিপে ভোটাররা বলেছেন যে তারা মনে করেন কাজের জন্য তার বয়সটা অনেক বেশি।

মি. বাইডেন এ মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থী। বিতর্কের পারফরমেন্স সত্ত্বেও তিনি লড়াই অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন।

যদিও সাতাত্তর বছর বয়সী লয়েড ডগেট তার বিবৃতিতে মি. বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।

“ভোটারদের আশ্বস্ত করার পরিবর্তে, প্রেসিডেন্ট তার অর্জনগুলোর পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিতে এবং ট্রাম্পের মিথ্যাগুলোকে বের করে আনতে ব্যর্থ হয়েছে,” বলছিলেন তিনি।

তিনি বলেন বয়সের কারণেই ট্রাম্পের কাছে হারার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

“তার একটি সুযোগ এসেছে নতুন প্রজন্মের নেতাদের উৎসাহিত করার এবং সেখান থেকে একজন প্রার্থী মনোনয়ন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার।”

বিতর্কের পর মি. বাইডেন শুক্রবারই এবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দিবেন।

কয়েকজন সুপরিচিত ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা এ সপ্তাহে মি. বাইডেনের বয়স ও সামর্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।তবে তারা কেউ লয়েড ডগেটের মতো তাকে সরে দাঁড়ানোর আহবান জানাননি।

অন্য শীর্ষ ডেমোক্র্যাটরা মি. বাইডেনের জয়ের সামর্থ্য নিয়ে ভয় পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি প্রেসিডেন্টের ওপরেই ছেড়ে দেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।

“এটা জো বাইডেনের ওপর, যা তিনি ভালো মনে করেন,” মঙ্গলবার বলছিলেন সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অন্যতম সমর্থক কংগ্রেসম্যান জিম ক্লাইবার্ন বলেছেন মি. বাইডেন সরে দাঁড়ালে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করবেন।

তবে তিনি বলেছেন, “আমি চাই বাইডেন-হ্যারিস চালিয়ে যাক”।

ম্যারিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান জ্যামি রাসকিন বলেছেন বিতর্কটি একটি ‘কঠিন পরিস্থিতি’ তৈরি করেছে।

তিনি স্বীকার করেন যে দলের সব স্তরেই অত্যন্ত সততার সাথে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিষয়টি।

“প্রেসিডেন্ট যে সিদ্ধান্তই নিন, আমাদের দল ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে এবং আমাদের প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দুতে তাকে প্রয়োজন,” বলছিলেন তিনি। বিবিসি বাংলা