News update
  • Go live together Friday, we stand united: Prof Yunus urges media      |     
  • Bodies of three Bangladeshis killed in India's Tripura handed over     |     
  • Khaleda, Tarique invited to July Charter signing ceremony     |     
  • Climate adaptation could unlock millions of jobs, growth in BD     |     
  • UN Rights Chief Welcomes Bangladesh's Abuse Prosecutions     |     

যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে এই কিয়ার স্টারমার?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক গনতন্ত্র 2024-07-05, 1:04pm

fgfgsgs-f3d10e3b251afb5ea7c07b98da1f675c1720163094.jpg




যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন ঘিরে ছয় সপ্তাহের প্রচারণা শেষে সম্পন্ন হয়ে গেল ভোটগ্রহণও। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৪০ হাজার কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। এখন চলছে ভোট গণনা। এরই মধ্যে সামনে এসেছে এক্সিট পোল বা নির্বাচনের বুথ ফেরত জরিপ। তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর এবার পতন হতে যাচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টির। নির্বাচনে চারশোরও বেশি আসনে জিততে চলেছে লেবার পার্টি। সেইসঙ্গে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কিয়ার স্টারমার।

বিগত পাঁচটি ব্রিটিশ সাধারণ নির্বাচনে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছে এক্সিট পোল। অর্থাৎ ঋষি সুনাককে হটিয়ে স্টারমারের ক্ষমতা গ্রহণ এখন অনেকটাই নিশ্চিত।

রাজধানী লন্ডনের বাইরে সারেতে ১৯৬২ সালের ২ সেপ্টেম্বর একটি বামপন্থী শ্রমিক পরিবারে জন্ম কিয়ার স্টারমারের । জন্মের পরপরই লেবার পার্টির সঙ্গে যেন তার একটি যোগসূত্র তৈরি হয়ে যায়। কারণ তার নামকরণটি হয়েছিল স্কটিশ ট্রেড ইউনিয়নিস্ট কিয়ার হার্ডির নামানুসারে, যিনি লেবার পার্টির প্রথম নেতা ছিলেন।

স্টারমার তার পরিবারের প্রথম স্নাতক। প্রথমে তিনি লিডস ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন করেন এবং পরবর্তীতে অক্সফোর্ড থেকে আইন বিষয়ে পড়ালেখা সম্পন্ন করেন। স্টারমার একজন মানবাধিকার আইনজীবী। যুক্তরাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউশন দপ্তরের পরিচালক পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়ায় অবদান রাখায় ‘নাইট’ উপাধি পেয়েছেন স্টারমার।

খুব অল্প বয়স থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিয়ার স্টারমার। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি যোগ দেন লেবার পার্টি ইয়ং স্যোশালিস্ট দলে। ২০২০ সালের এপ্রিলে লেবার পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন স্টারমার। জেরেমি করবিনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। দায়িত্ব নিয়েই যুক্তরাজ্যের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন স্টারমার। কয়েক বছরের মাথায় ভোটের লড়াইয়ে এর সুফল পেলেন তিনি।

সমর্থকদের চোখে স্টারমার একজন বাস্তববাদী মানুষ। ভরসা করার মতো রাজনীতিবিদ। আর সমালোচকদের অনেকের মতে, স্টারমার চৌকস নন। বরং তিনি অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়া একজন রাজনীতিক।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম দ্য সান আয়োজিত এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে স্টারমার বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে যেসব মানুষ আসছে, তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না।’ কনজারভেটিভ সরকারের রুয়ান্ডা অভিবাসী প্রত্যাবাসন প্রকল্পের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

স্টারমারের এমন মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়ে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি সম্প্রদায়। প্রতিবাদ জানানো হয়। এমন মন্তব্যে বিপাকে পড়েন এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীরা। এবার লেবার পার্টির আটজনসহ সব মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক ভোটে লড়ছেন।

তুমুল সমালোচনার মুখে সুর নরম করেন স্টারমার। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে বাংলাদেশকে আলাদাভাবে বোঝাতে চাইনি। আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও আমাদের দেশের প্রতি বাংলাদেশি কমিউনিটির অবদানকে আমি ব্যাপকভাবে মূল্যায়ন করি।’

এদিকে রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, নির্বাচনে জয়ী হতে জনগণের জন্য সরকারি সেবার মান কমে যাওয়া ও জীবনযাত্রার মান নিয়ে মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়েছেন স্টারমার। নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, লেবার পার্টি পরিবর্তন আনবে। যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন, তা থেকে শিগগিরই উত্তোলনের কোনো জাদুমন্ত্র তার কাছে নেই। নির্বাচনে জয়ী হলে সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে ৬১ বছর বয়সী এ আইনজীবীর জন্য। আরটিভি