News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোট দিলেন ৬ কোটি ভোটার

ডয়চে ভেলে গনতন্ত্র 2024-11-01, 6:25pm

yuktraassttr-fb788330bfcebfca9f97ded0df7bfbaa1730463910.jpg




যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৫ নভেম্বর। তবে তার আগে সব রাজ্যে একদিন আগাম ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। ভোটের দিন ভিড় কমাবার এবং ভোটদাতাদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য আগেই একদিন ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা থাকে যুক্তরাষ্ট্রে। ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার ইলেকশন ল্যাবের তথ্য বলছে, ছয় কোটিরও বেশি ভোটদাতা আগাম ভোটিংয়ের সুবিধা নিয়েছেন।

ইলেকশন ল্যাবের দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, তিনি কলোরাডো, জর্জিয়া, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা, ভার্জিনিয়াসহ ছয়টি ল্যাবের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ছয় কোটি ২০ লাখ ভোটদাতা ২০২৪ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোট দিয়েছেন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যত মানুষ ভোট দিয়েছিলেন, তার ৪০ শতাংশ এবার আগাম ভোট দিয়েছেন।

নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়াসহ বিভিন্ন সুইং স্টেটে তো নথিভুক্ত ভোটদাতাদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ আগাম ভোট দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে কিছু অঙ্গরাজ্য সচরাচর ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে থাকে, কিছু অঙ্গরাজ্য থাকে রিপাবলিকানদের পক্ষে। নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়ার মতো সাতটি অঙ্গরাজ্য আছে, যারা যেকোনো দিকে যেতে পারে। তারা যেদিকে যায়, সেই প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেজন্য এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে সুইং স্টেট বলে।

ভোটের জরিপগুলো জানিয়েছে, এবার ট্রাম্প ও হ্যারিসের মধ্যে প্রবল লড়াই হচ্ছে। আগাম ভোটিং থেকে বোঝা যাচ্ছে, ভোটদাতারাও এই নির্বাচন নিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা নিয়ে কতটা উৎসাহী।

জর্জিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড রাফেন্সপার্জার সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘দুই পক্ষের ভোটদাতারা খুবই উৎসাহিত। এই প্রক্রিয়া যাতে সৎ, ন্যায্য ও ঠিক হয়, আমরা তা নিশ্চিত করতে চেয়েছি।’

পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, যারা আগাম ভোট দিয়েছেন, তার মধ্যে ৫৫ শতাংশ নারী ও ৪৫ শতাংশ পুরুষ।

ইইউ কমলা হ্যারিসকে চায়

যদি ইউরোপের মানুষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিত, তাহলে ফলাফল আগে থেকেই বলে দেওয়া যেত। পশ্চিম ইউরোপের ৬৯ শতাংশ কমলা হ্যারিসের পক্ষে এবং পূর্ব ইউরোপের ৪৯ শতাংশ ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে ভোট দিতেন।

ট্রাম্প পশ্চিম ইউরোপে ১৬ শতাংশ ও পূর্ব ইউরোপে ৩৬ শতাংশ ভোট নিশ্চিতভাবে পেতেন। নোভাস ও গ্যালাপ আন্তর্জাতিক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কমলা হ্যারিস সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ডেনমার্কে, সেখানে ৮৫ শতাংশ মানুষ তার পক্ষে এবং ফিনল্যান্ডের ৮২ শতাংশ মানুষ কমলা হ্যারিসের পক্ষে। আর পূর্ব ইউরোপে ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছেন সার্বিয়া ও হাঙ্গেরিতে। সেখানে ৪৯ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পকে পছন্দ করছেন।

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ইতোমধ্যেই ট্রাম্পকে শুভ কামনা জানিয়েছেন। ইউরোপে ট্রাম্পের শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে অরবান অন্যতম।