News update
  • ‘Very unhealthy’ air quality persists in Dhaka     |     
  • Customs duty on dates imports cut ahead of Ramadan     |     
  • NBR extends VAT exemption on Metro Rail services     |     
  • People eagerly await Tarique Rahman's homecoming Thursday     |     
  • Palm trees axed in Naogaon bypass for safety of electric line     |     

জোহরান মামদানির জয়ে লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের অভিনন্দন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক গনতন্ত্র 2025-11-06, 8:20am

e9e168cf36bc454cbdad2363f6a790cb2985eb6b0f624644-e4197d59e02bd042a619b82c90b53c3d1762395652.jpg




যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। মামদানির নির্বাচনী প্রচারণারও প্রশংসা করেছেন তিনি। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদন মতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে সাদিক খান বলেছেন, ‘আশা আর ভয়ের মধ্যে নিউইয়র্কবাসীর সামনে ছিল এক স্পষ্ট উপায় বেঁছে নেয়ার সুযোগ। আর যেমনটা আমরা লন্ডনে দেখেছি — এবারও আশার জয় হয়েছে।’

গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান মামদানি। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এ জয়ের মধ্যদিয়ে মামদানি শহরটির প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন।

একই সঙ্গে মামদানি হলেন প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম মেয়র। শুধু তাই নয়, মাত্র ৩৪ বছর বয়সি মামদানি গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ মেয়র। তার জয়ে পুরো নিউইয়র্ক শহর এখন উদযাপনের আবেশে নিমজ্জিত। চারদিক থেকে শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন পাচ্ছেন মামদানি।

মামদানির জয়ের ফলে এখন বিশ্বের দুই বৃহত্তম শহর— যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নেতৃত্ব চলে এলো দুজন উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত রাজনীতিকের হাতে, যারা দুজনেই মুসলিম অভিবাসী পরিবারের সন্তান।

দুই নেতাই নিজ নিজ দেশে কট্টর ডানপন্থার উত্থানের মধ্যে বিপরীতধর্মী রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। তবে তাদের রাজনৈতিক অবস্থানে পার্থক্যও রয়েছে। সাদিক খান তুলনামূলকভাবে মধ্যপন্থি রাজনীতির অনুসারী, যিনি ২০১৬ সালে লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে ব্রিটেনের শাসক লেবার পার্টির সাংসদ ছিলেন।

অপরদিকে মামদানি প্রকাশ্যেই নিজেকে প্রগতিশীল বামপন্থি এজেন্ডার সমর্থক হিসেবে তুলে ধরেছেন। তবে উভয় নেতাই নিজ নিজ ধর্ম, অভিবাসী পরিচয় ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও বিদ্বেষের মুখে পড়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প উভয়কেই লক্ষ্য করে তীব্র মন্তব্য করেছেন। মামদানিকে তিনি তকমা দেন ‘খাঁটি কমিউনিস্ট’ বলে আর সাদিক খানকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড লুজার’।

মামদানির জয়ের পরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। বলেছেন, তিনি প্রার্থী হলে মামদানি জিততে পারতেন না। সরকারে চলমান শাটডাউনকেও রিপাবলিকানদের পরাজয়ের আরেক কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। 

সিএনএনের এক প্রতিবেদন মতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় রিপাবলিকানদের পরাজয়ের দুটি কারণ তুলে ধরেন। বলেন, ‘ব্যালটে ট্রাম্প ছিলেন না, অন্যদিকে শাটডাউন। এই দুই কারণে আজকের নির্বাচনে হেরেছে রিপাবলিকানরা।’

আরেক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে যেসব ইহুদি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী মামদানিকে ভোট দিয়েছেন, তারা মূলত ‘বোকা ও ইহুদি বিদ্বেষী’। তাদের ‘এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদীদের বিরুদ্ধে যাবে’।