News update
  • Sharif Osman Hadi No More     |     
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     

সংকটে পড়তে পারে জ্বালানি সরবরাহ, মজুত আছে ৪৫ দিনের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জীবাশ্ম 2025-06-21, 5:57pm

img_20250621_175441-7ffe7ef2814f69a69525dd1f08ed9ab61750507054.jpg




বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিশোধিত ও অপরিশোধিত মিলিয়ে মোট ১৪ লাখ টন জ্বালানি তেল মজুতের সক্ষমতা রয়েছে। এই মজুত দিয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ দিন পর্যন্ত দেশের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলেও এর সুফল দেশের মানুষ তৎক্ষণাৎ পায় না। একই সঙ্গে সরবরাহ চেইনে সামান্য বিঘ্ন ঘটলেও বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়।

বর্তমানে দেশে গড়ে ৪৫ দিনের জন্য প্রায় ১৪ লাখ টন জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। ইস্টার্ন রিফাইনারিতে প্রতিবছর গড়ে ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল পরিশোধন সম্ভব। সৌদি আরব ও আবুধাবি থেকে বছরে গড়ে ৬-৭ লাখ টন করে ক্রুড অয়েল আমদানি করা হয়। ১৪টি জাহাজে করে বছরে মোট প্রায় ১৪ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আসে বাংলাদেশে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনা পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নিলে বাংলাদেশে জ্বালানি সংকট ঘনীভূত হতে পারে। কারণ, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩৪ শতাংশ এবং গণপরিবহনের ৯০ শতাংশ জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীল। কৃষি খাতে সেচেও ব্যবহৃত হয় ডিজেল।

চাহিদা বিবেচনায় মজুত সক্ষমতা বাড়াতে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্প গ্রহণ করে বিপিসি। প্রকল্পগুলো শেষ হলে নতুন করে আরও ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮০০ টন তেল মজুতের সুবিধা তৈরি হতো। এতে মোট মজুত সক্ষমতা দাঁড়াত দেশের মোট চাহিদার প্রায় এক-চতুর্থাংশে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে একটি প্রকল্পও শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি।

বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান বলেন, ‘মজুত সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। কিছু জটিলতা থাকায় নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি। তবে বড় প্রকল্পগুলো শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে। এতে আমদানি ব্যয় ও মজুত ঝুঁকি উভয়ই কমবে।’

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত প্রসঙ্গে বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘সৌদি আরব ও দুবাইয়ের তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, তাদের পক্ষ থেকে সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না। তাছাড়া আমরা পরিশোধিত তেল মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আমদানি করি। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জাহাজ ভাড়া উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাবে।

২০১৫ সালে শুরু হওয়া ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হলেও এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। অপারেশন পরিচালনার জন্য বিদেশি কোম্পানি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি বিপিসি। প্রকল্পটি চালু হলে মজুত সক্ষমতা বাড়ত ২ লাখ টন; যার মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার টন হতো ক্রুড অয়েল এবং ৭৫ হাজার টন ডিজেল।

দেশে বার্ষিক জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে মাত্র ৮ শতাংশ স্থানীয়ভাবে পূরণ হয়। বাকি ৯২ শতাংশ আমদানি করতে হয়। বিপিসি অপরিশোধিত তেল আমদানি করে সৌদি আরামকো ও আবুধাবির অ্যাডনকের কাছ থেকে। পরিশোধিত তেল আমদানি হয় আটটি দেশের সঙ্গে জিটুজি ও আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে।

বিপিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৫৯ লাখ ১০ হাজার টন পরিশোধিত এবং ১৪ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে ৬৩ লাখ ৭১ হাজার টন তেল আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ৫৫ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিশোধিত তেলের জন্য খরচ হয়েছে ৪২ হাজার ৬৭ কোটি, ফার্নেস অয়েলের জন্য ৪ হাজার ১০৩ কোটি এবং মেরিন ফুয়েলের জন্য ১০৭ কোটি টাকা। অপরিশোধিত তেলের জন্য খরচ হয় ৯ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা।

বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য ও অপারেশন) মনিলাল দাশ জানান, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর এখনও পর্যন্ত জ্বালানি তেলবাহী কোনো জাহাজ বাংলাদেশে পৌঁছেনি। তবে সৌদি আরব থেকে এক লাখ টন ক্রুড অয়েল বহনকারী একটি জাহাজ ২৮ জুন দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। হরমুজ প্রণালি পার হয়ে জাহাজটি আসছে। আরেকটি জাহাজ ২২ জুলাই আসবে।

পরিশোধিত তেলের আমদানিতে বিপিসির আটটি দেশের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ের চুক্তি রয়েছে। আরটিভি