News update
  • ‘Very unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Sunday morning     |     
  • Harassment, corruption shade Begum Rokeya University, Rangpur     |     
  • Sikaiana Islanders Face Rising Seas and Uncertain Future     |     
  • BD Election Commission to begin political dialogue this week     |     
  • Climate summit hears countries suffering from global warming      |     

পাইপলাইনের মাধ্যমে আগামী বছর ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হবে : প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জ্বালানী 2022-11-20, 5:24pm




প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী বছর পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে তেল আমদানি করতে চায়। আশা করছি আগামী বছর তা শুরু করা যাবে।

আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির ৩২ সদস্যের বিধায়কের অংশ হিসেবে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফর করছে।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) প্রকল্পের লক্ষ্য ভারত থেকে বাংলাদেশে তেল পণ্য রপ্তানি করা।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, করোনাকালে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই দেশের সীমান্ত লাইনের বিভিন্ন অংশে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্ডার হাটগুলো আবার চালু হবে।

প্রধানমন্ত্রী এই সফরের জন্য প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের উন্নতি চায়।

ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশ আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিরোধের সমাধান করেছে।

আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও ত্রিপুরা পারস্পরিক সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম বিমান ও সমুদ্র বন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।

শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া কানেক্টিভিটি রুটের কথা উল্লেখ করে বলেন, রুটগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেয়ার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

আসাম বিধানসভার স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ সফরে তাদের খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে সহযোগিতার মাধ্যমে আসামের জনগণ উপকৃত হবে।

প্রতিনিধিদল এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ জোরদারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

বিশ্বজিৎ দাইমারী বলেন, আসাম বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কৃষি খাতে সহযোগিতা চায়। কারণ এ খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে প্রতিনিধি দল।এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন। তথ্য সূত্র বাসস।