News update
  • IAEA Chief Calls for Renewed Commitment to Non-Proliferation     |     
  • UN Aid Chief Warns Humanitarian Work Faces Collapse     |     
  • Arab-Islamic Summit yields limited action over Israeli strike on Doha     |     
  • National Consensus Commission term extended till October 15     |     
  • EU Helping BD prepare for free, fair elections: Envoy Miller     |     

রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউরেনিয়াম বিমানে এলো দেশে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জ্বালানী 2023-09-29, 7:27am

resize-350x230x0x0-image-241678-1695914372-2b1b589cd9553f24f01cc2f24b859ecb1695950834.jpg




রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল (তেজস্ক্রিয় জ্বালানি) বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে। রাশিয়ার একটি চার্টার্ড উড়োজাহাজে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ইউরেনিয়াম খালাস করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এর প্রথম ব্যাচের এ জ্বালানি এসে পৌঁছায়।

প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণ করা হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ব্যয়ের মধ্যে রাশিয়া দিচ্ছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রথম ইউনিটটি আগামী বছর চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই প্রথম ইউনিটের জন্য আগামী ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের কথা রয়েছে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে। হস্তান্তরের এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। প্রকল্পটিতে ২৪ থেকে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। অর্থাৎ বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করবে প্রকল্পটি।

রূপপুর বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে অনন্য উচ্চতায়। রূপপুর পাবনা জেলায় অবস্থিত হওয়ায় পাবনাবাসীও গর্বিত। ১৮০০ রাশিয়ানসহ মোট ৮ হাজার প্রকৌশলী ও শ্রমিক দিনরাত নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করছেন।

১৯৬১ সালে পাকিস্তান আমলে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে পদ্মার তীরে রূপপুরে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের জন্য ২৬০ একর এবং আবাসিকের জন্য ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক জটিলতায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আবার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। নানা পট-পরিবর্তনের পর প্রায় অর্ধশত বছর পরে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন এবং ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়।

২০১৩ সালের ২ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর পারমাণবিক প্রকল্পের চুল্লির জন্য কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। রূপপুরের জন্য রাশিয়ার কারখানায় তৈরি হয় রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।