News update
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     
  • Dhaka’s air quality recorded ‘unhealthy’ Friday morning     |     
  • Dr Yunus proved impact of innovative economics: Peking Varsity Prof     |     
  • Alongside conflict, an info war is still happening in Gaza     |     

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬২ পরিচালককে অপসারণ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জ্বালানী 2024-08-16, 6:17am

power_1-659ef70b8af29fb1c23854e10fbbc2501723767430.jpg




বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালকসহ ৬২জন পরিচালককে অপসারণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক পছন্দের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, এমন কর্তাব্যক্তিরা রয়েছেন এর মধ্যে। যদিও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা স্ব স্ব পদে বহাল আছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হাবিবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

হাবিবুর রহমান বলেন, 'আজ আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ থেকে মোট ৩৫ জন পরিচালককে সরিয়ে দিয়েছি; যাদের রাজনৈতিক পছন্দের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি বিদ্যুৎ কোম্পানি এবং ১৮টি ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির। তিনি উল্লেখ করেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেনকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে দুদিন আগে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অবিলম্বে সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে এ নির্দেশনার ফলে মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন ১৩টি কোম্পানির বোর্ড থেকে ২৬ জন পরিচালককে অপসারণ করা হয়। শনিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, এই ২৬ পরিচালককে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অপসারণ করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ইউএনবির প্রতিবেদন বলছে, বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের একান্ত সচিব রোকন-উল হাসান; তার ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম; সাবেক অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন কবির লস্কর; সাবেক সংসদ সদস্য ফরিদা আখতার হীরা; সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. কাজী আনোয়ারুল হক; ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জাজরীন নাহার; প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব-২ আল মামুন মোরশেদ; প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব-১ মনিরা বেগম; মহাপরিচালক-৩ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান; সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরীর একান্ত সচিব মুক্তাদির আজিজ; তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন; সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল; প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব ইসমত মাহমুদা এবং যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি।

এ ছাড়া আরও ১১ ব্যক্তি, যাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জ্বালানি খাতের বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালকের পদ থেকে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কোম্পানিগুলো হলো–সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল), জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (জেজিটিডিসিএল), পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল), সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (এসজিসিএল), কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেডিসিএল), বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল), বাংলাদেশ এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স), তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল),  রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল), যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (জেওসিএল), পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (পিওসিএল) ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড (এমপিএল)। এনটিভি নিউজ।