অবশেষে ছয় বছর পর তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে কয়লা আমদানি। এতে স্বস্তিতে আমদানিকারক ও শ্রমিকরা। এর আগে, ভারতের নিষেধাজ্ঞায় শত কোটি টাকার এলসি আটকে ছিল দেশের ব্যবসায়ীদের।
এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হওয়ায় বেড়ে গেছে কর্মচাঞ্চল্য। ভারত থেকে আসা ট্রাকগুলো থেকে কয়লা খালাস করছেন শ্রমিকরা। তারা বলেন, কয়লা আমদানি শুরু হওয়ায় বেড়ে গেছে বন্দরের সব কাজকর্ম। বেড়েছে এখানকার শ্রমিকদের আয়-রোজগারও।
প্রসঙ্গত, ভারতের একটি আদালত মেঘালয়ে উত্তোলিত কয়লা বাংলাদেশে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় ২০১৮ সাল থেকে আমদানি বন্ধ থাকে। এর ফলে প্রায় ৮শ আমদানিকারকের অন্তত ১০০ কোটি টাকার এলসি আটকা পড়েছিল। এতে আমদানিকারক ও শ্রমিকরা দুর্দশায় পড়েন।
তবে চলতি বছর অক্টোবরের শেষে পুরোদমে কয়লা আমদানি ফের শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে আমদানিকারকরা। শামীম আহমদ নামে এদের একজন বলেন, আগামীতে যেন আর কয়লা আমদানি বন্ধ না করা হয়। ব্যবসায়ীদের কাজ করে খাওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
এদিকে, তামাবিল স্থলবন্দরকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ আমদানিকারকদের। আমদানিকারক ইসমাইল হোসেন বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল করতে বন্দরের সীমানা বাড়াতে হবে। এতে দ্বিগুণ হবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
অন্যদিকে, ছাত্র-জনতার আগস্ট বিপ্লবের পর কমাস ধরে সিলেটে স্থলবন্দরসহ শুল্ক স্টেশনগুলোতে মন্দাভাব বিরাজ করছিল। তবে ধীরে ধীরে এ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) শাকিলা সুলতানা পলি বলেন, আগের থেকে ট্রাক কিছুটা কম আসছে। তবে দেশের পরিস্থিতি ঠিক হতে শুরু করায় ব্যবসা-বাণিজ্য ধীরে ধীরে আগের পর্যায়ে ফিরে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আগে তামাবিল স্থলবন্দরে প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ৭ কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রফতানি হলেও বিগত ৩ মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭০ লাখ থেকে এক কোটি টাকার মধ। এনটিভি নিউজ।