জাভার প্রধান দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার একদিন পর মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ায় উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের খোঁজে সন্ধান চালাচ্ছে।
সিয়ানজুরের আঞ্চলিক দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫২-তে দাঁড়িয়েছে, শত শত মানুষ আহত হয়েছে এবং ৩১ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
পশ্চিম জাভার গভর্নর রিদওয়ান কামিল সোমবারের ভূমিকম্পের পরে বলেছিলেন, ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষের বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর শত শত আহত মানুষ সিয়ানজুরের রাস্তা ধরে পালিয়ে যায়। অনেকেই রক্ত আর ধ্বংসাবশেষে মোড়া ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, সিয়ানজুর ছিল ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল।
সেখানে থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী জাকার্তায় এর কম্পন অনুভূত হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু উঁচু ভবন খালি করা হয়েছে।
জরুরি সেবা কর্মীরা আহতদেরকে স্ট্রেচারে করে এবং কম্বলে জড়িয়ে হাসপাতালের বাইরে, বারান্দায় এবং সিয়ানজুর অঞ্চলে পার্কিং লটে চিকিৎসা করছিলেন।
বেশ কয়েকটি ভূমিধসের কারণে সিয়াঞ্জুরের কাছে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে কয়েক ডজন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল, একটি হাসপাতাল এবং অন্যান্য জনসেবা স্থাপনা রয়েছে।
দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা সতর্ক করেছে যে, ভারী বৃষ্টি হলে আরও ভূমিধস ঘটতে পারে।
২৭ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়শই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং সুনামি হয়ে থাকে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকায় আগ্নেয়গিরি এবং ফল্ট লাইনের একটি আর্ক “রিং অফ ফায়ার” এর অবস্থানের কারণে এই ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং সুনামির কারণে ১২টি দেশের প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। মৃতের বেশিরভাগই ইন্দোনেশিয়ার ছিল। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।