
ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ বাংলাদেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আরও বহু মানুষ আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিস্থিতি চূড়ান্ত আশঙ্কাজনক, মৃতের সংখ্যা ২০০ পার হয়ে যেতে পারে।
করমন্ডল এক্সপ্রেস চলে হাওড়া থেকে চেন্নাই। ফলে বহু বাংলাদেশি এই ট্রেনটি ব্যবহার করে। বিশেষ করে চিকিৎসার কারণে ভেলরে যান তারা। ফলে এ ট্রেনে কোনো বাংলাদেশি আটকে আছেন কিনা বা মৃত্যু হয়েছে কিনা এ ছাড়া আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কিনা। সেদিকে নজর রাখছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশে ডেপুটি হাইকমিশন।
মিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ওড়িষ্যার সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছি। সম্পূর্ণ বিষয়টার ওপর মনিটরিং শুরু করেছি।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, দুপুর ৩টা ১৫ মিনিট নাগাদ শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর স্টেশন ছাড়ে বিকাল সোয়া ৫টায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় বালেশ্বরে। বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ বগির ট্রেনটি।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা আদিত্য চৌধুরী বলেন, বালেশ্বরের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে কিছু একটা হয়েছে। আমরা বিস্তারিত জানতে পারিনি। জানার চেষ্টা করছি। জানামাত্রই জানানো হবে।
রেলওয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেন, করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কলকাতা থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল। পথে লাইনচ্যুত হয়ে আরেকটি ট্রেনকে ধাক্কা দেয়। ওই ট্রেনটি বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা যাচ্ছিল।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে রাজ্যের সচিব ও অপর সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নভীন পাটনায়েক রাজ্যের রাজস্বমন্ত্রী প্রমিলি মালিককে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।