Rab minibus damaged in a head-on collision with a passenger bus in Kuakata on Saturday 11 Oct 2025.
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালী সদর উপজেলার ফতুল্লা বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রীবাহি বাসের সাথে র্যাবের মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনায় বাস ও র্যাবের মিনিবাসে থাকা অন্তত: অর্ধশত আহত হয়েছে। অহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালের নেয়ার পর দুই বছরের শিশু পিয়াস মারা যায়। র্যাবের পারিবারিক পিকনিকে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার পথে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত অন্তত: ৩৪ জনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বর আহত র্যাব সদস্য ও তাদের সাথে থাকা স্ত্রী সন্তানসহ অন্তত: ১৫ জন স্বজনদের বরিশাল সিএমইচে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত যাত্রীদের মধ্যে গুরুত্র ৫ জনকে বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন গলাচিপা উপজেলার ইব্রাহিম (৩৫), নরাইল এলাকার রেহেনা (৫৫), র্যাব পরিবারের সদস্য মাহাবুবা (২৮), হৃদয় (৩২), ভোলার কামাল (৪০), নড়াইলের শামিমা (৪০), ঝিনাইদহের ওমর (৪০), নীলফামারির আফরোজা (৪১), বাগেরহাটের আরিফ (২৭), বরিশালের তাসনিম (১৭), গলাচিপার বেল্লাল (৫০), পিয়াস (৯), জুনায়েদ (৭ মাস), আমতলীর যুথি আক্তার (১৬), দিনা (৮), র্যাব পরিবারের সদস্য মীম (৮), সাতক্ষীরার এশা (২৯), সাতক্ষিরার প্রসেনজিৎ (৩৩), সাতক্ষিরার পিয়াস (২), আমতলীর মো. ফরিদ (১৮), রাঙ্গাবালীর আবদুল্লাহ (৪), আমতলীর রবিউল (১১), বাঘের হাটের মেঘলা (২০), বরিশালের মো. ইলিয়াস শেখ (৩২), গলাচিপার সানজিদা (২১), গলাচিপার রিফাত (৮), নিপা , ইব্রাহিম (৪২), আমতলীর নাজমুল ইসলাম (৩২), বরগুনার নেয়ামত উল্লাহ (২৪), কামাল হোসেন।
জানা যায়, সকালে বরিশাল থেকে র্যাবের একটি মিনিবাস পিকনিক এর উদ্দেশে কুয়াকাটা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ফতুল্লা বাসষ্টান্ড নামক মহাসড়কে কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহি বাস ধানসিড়ির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ দূর্ঘটনায় যাত্রীবাহি বাস ও র্যাবের মিনিবাসটি দুমড়ে মুছড়ে যায়। এতে নারী ও শিশুসহ উভয় বাসের অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে গুরুতর । আহতদের পযার্য়ক্রমে র্যাব ও সেনাবাহিনীর অ্যাম্বুলেন্সে বরিশাল সিএমএইচ ও শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎক ডাক্তার তামান্না রহমান শান্তা জানান, সকাল ৯টার কিছু পূর্বে বেশ ক’জন আহত রোগী আসতে থাকেন। এর মধ্যে প্রথমেই দুই বছরের শিশু পিয়াসকে নিয়ে আসে। তাকে আমরা মৃতই পাই। এর পরে একে একে হাতে-পায়ে ও মুখে কাটা ছেড়া গুরুতর অবস্থায় রোগী আসতে থাকে। এর মধ্যে ৭-৮ জনের অবস্থা গুরুতর। সকলকেই আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠাই। গুরুতর আহতদের লেবুখালী সেনানিবাস সিএমএইচ ও শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করি। - গোফরান পলাশ