News update
  • Tarique visits National Martyrs’ Memorial, pays homage to martyrs     |     
  • Muslim League leads new electoral alliance, Jatiya Muslim Jote     |     
  • Tk 500cr Drive to Turn Haor Fallow Land Into Farmland     |     
  • Tarique Rahman returns home amid rapturous reception     |     
  • Home After 17 Years: Tarique Returns to Gulshan Residence     |     

৫০০ বছরের পুরনো মসজিদের ওপর হয় ‘বারোদুয়ারি মসজিদ’

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ধর্মবিশ্বাস 2024-04-07, 7:30am

0wi0w90-9r-0-27165b48c34030a7cfd366f7c9ae5c941712453455.jpg




রহমত, বরকত ও নাজাতের পবিত্র মাস রমজান। এই মাসে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আল্লাহর দরবারে নিজেকে সঁপে দেন। সব ধরনের পাপ থেকে বিরত থেকে রহমত অনুসন্ধান করেন বিশ্বের মুসলমানরা।

পবিত্র রমজান মাসজুড়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইসলামি নিদর্শন ঐতিহাসিক মসজিদ নিয়ে বিশেষ আয়োজন করেছে সময় সংবাদ। এই আয়োজনে মধ্যযুগেরও আগে থেকে বর্তমান বাংলাদেশ নামে এই স্বাধীন ভূখণ্ডে নির্মিত মসজিদের তথ্য পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।

আজকের আয়োজনে শেরপুরের ঐতিহাসিক বারোদুয়ারি মসজিদের তথ্য তুলে ধরা হবে।

বারোদুয়ারি মসজিদ শেরপুরের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এ মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয় ১৫ শতকের কোনো এক সময় এটি নির্মাণ করা হয়।

জনশ্রুতি আছে, মুসলিম এক শাসকের পরাজয়ে পর প্রচণ্ড ভূমিকম্পে মাটির নিচে দেবে যায় পুরনো মসজিদটি। কথিত আছে সাড়ে তিন থেকে চারশ’ বছর এই মসজিদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। চাপাপড়া মসজিদের ওপর বিশাল এক বটবৃক্ষ দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে ছিল।

স্থানীয়রা জানান, জামালপুরের শরীফপুর ইউনিয়নের পিঙ্গলহাটি গ্রামের মাওলানা আজিজুল হক নামে এক ব্যক্তি বহু বছর অনুসন্ধানের পর মসজিদটি খুঁজে পান। ১৯৬০ দশকের দিকে তিনি শ্রীবরদীতে ভূমি জরিপ কার্যালয়ে পিএলএ পদে চাকরি করতেন। স্বপ্নযোগে আদেশ প্রাপ্ত হয়ে তিনি মসজিদটির সন্ধানে প্রায়ই গড়জরিপ করতে আসতেন। একদিন প্রচন্ড ঝড়ে বটগাছটি মূলসহ উপড়ে গেলে মসজিদের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।

জনশ্রুতি আছে স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে মাটির নিচে চাপা পড়া মসজিদটির অনুসন্ধান করা হয়। ছবি সময় সংবাদ

পরে স্থানীয়দের সাহায্যে বটগাছটি কেটে মাটি খোঁড়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা মসজিদের সন্ধানও পান তিনি। প্রায় ১০ ফুট মাটি খুঁড়ে পানি ও কাদামাটির কারণে খনন কাজ বন্ধ করে দেন। তবে ততদিনে মসজিদের অবয়ব সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পান তিনিসহ স্থানীয়রা। পরবর্তীতে মাটির নিচের মসজিদটির নকশা অক্ষুন্ন রেখে সেই ভিত্তির ওপরেই আবারও নির্মাণ করা হয় বর্তমান মসজিদ।

মসজিদের দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ সম্বলিত মেহরাব ও কার্নিশগুলো সহজেই সকলের নজর কাড়ে। অসাধারণ নকশা ও কারুকার্যমণ্ডিত মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন মুসল্লিরা।

২০০৮ সালে মসজিদটি নতুন করে নির্মাণ শুরু করেন স্থানীয়রা। এরইমধ্যে পাঁচতলার পাঁচটি ছাদ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। মসজিদের দুই পাশে দুটি মিনার নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এই মসজিদে প্রতি শুক্রবার প্রায় লক্ষাধিক টাকা দান আসে। দানের টাকায় মসজিদটির বাকি কাজ সম্পন্ন করতে আরও প্রায় সাড়ে চার বছর লাগতে পারে বলে জানিয়েছে পরিচালনা কমিটি। তবে সরকারি অনুদান পেলে মসজিদের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে বলে আশা করেন মুসল্লিরা।

মসজিদের উপরে তিনটি বিশাল আকৃতির গম্বুজ রয়েছে। পূর্বপাশে ৯টি দরজা, দক্ষিণে ২টি আর উত্তরে একটি, মোট ১২টি দরজা থাকায় এটিকে বারোদুয়ারি মসজিদ বলা হয়। সময় সংবাদ