News update
  • Children in Gaza ‘going to bed starving’ amid blockade     |     
  • Plague of rats, insects latest challenge for war-torn Gazans     |     
  • Guterres tells UNSC two-State option near point of no return     |     
  • 14-year-old Suryavanshi smashes record-breaking T20 century     |     
  • If the US Nuclear Umbrella Collapses, Will it Trigger a Euro-Bomb?     |     

সাদপন্থীদের জোড় ইজতেমা ঠেকাতে মাঠে অবস্থানের ঘোষণা জুবায়ের অনুসারীদের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ধর্মবিশ্বাস 2024-12-15, 8:34pm

img_20241215_203300-ab196779c21ba2d6a24c740b9013dd141734273289.jpg




মাওলানা সাদ সাদপন্থীদের জোড় ইজতেমা ঠেকাতে গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ইজতেমা মাঠ-সংলগ্ন কামারপাড়া সড়কে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এ ঘোষণা দেন। অন্যদের মধ্যে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মুফতি আমানুল হক, মুফতি ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা মাসউদুল করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী ও গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারকে দোষারোপ করে মামুনুল হক বলেন, মুরব্বিদের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী আমরা টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে অবস্থান নিলাম। ইজতেমার জন্য সরকারিভাবে যে তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে, ওই তারিখের পূর্বে যদি কেউ আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে কোনোরকম বাধার সৃষ্টি করতে চায়, তবে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য খোদা বকশ চৌধুরী, নাজমুল করিমসহ তাদের দোসররাই দায়ী থাকবেন। আমরা একবার ২০১৮-তে রক্ত দিয়েছি, আবার দেব। তবু কোনো অবস্থাতেই আত্মমর্যাদার পথ থেকে এক চুল পরিমাণ সরে দাঁড়াব না।

ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ার করে বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম মালিকানা সূত্রে এ দেশে বসবাস করে। আলেম সমাজকে মাইনাস করে বাংলাদেশে কোনো কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না। আমরা আবার বলছি, শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সকল কার্যক্রম চলবে। বিশ্ব ইজতেমা যেভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেভাবেই চলবে। আপনারা হুঁশিয়ার হয়ে যান, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে থেকে যারা ইসলামকে, আলেম সমাজকে ঘায়েল করতে চান, আমরা আপনাদের কোনো ষড়যন্ত্র ইনশা আল্লাহ বাস্তবায়িত হতে দেব না।

তিনি আরও বলেন, আমরা আলেম সমাজের পক্ষ থেকে উদাত্ত আহ্বান জানাতে চাই, এভাবে মোকাবিলায় না গিয়ে, সংঘাতে না জড়িয়ে, আসো, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করি। ইসলামের যেকোনো কাজ পরিচালনা করতে হলে আলেম সমাজের তত্ত্বাবধান জরুরি, পরামর্শ জরুরি। তাদের পরামর্শের বাইরে ইসলাম ধর্মীয় কোনো কাজ চলতে পারে না।

প্রসঙ্গত, মূল ইজতেমাকে সামনে রেখে গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে পাঁচ দিনের ‘জোড়’ পালন করেন জুবায়েরের অনুসারীরা। এরপর ২০ ডিসেম্বর থেকে ৫ দিনের জোড় পালনের ঘোষণা দেন সাদের অনুসারীরা। কিন্তু জুবায়েরের অনুসারীরা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা মাঠে ‘জোড়’ করতে দিতে রাজি না। সরকারিভাবেও এর অনুমতি নেই। এ নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা চলছে। পৃথক মানববন্ধন, বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি, গাড়িতে হামলাসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। এমন উত্তেজনার মধ্যে জুবায়েরের অনুসারীদের থেকে ইজতেমা মাঠে অবস্থানের ঘোষণা এসেছে।

আরটিভি