News update
  • Israel issues, then drops air raid alert for Tel Aviv     |     
  • Penalty ends Palestinian WC hope; team leaves lasting impact     |     
  • Court imposes travel ban on Shakib, 24 others in graft case     |     
  • Rare folk treasures at risk in Kurigram’s Bhawaiya Museum     |     
  • ACC probes Tk 20bn money laundering by ex-diplomat Saida Muna     |     

সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারী প্রগতি সংঘের ৩১-দফা প্রস্তাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক নির্বাচন 2023-11-13, 6:05pm

484b6bfe-c97c-4800-b9b5-427e38efa111-cf16bce3f35b9afe926c4cc2587d736a1699877157.jpg




দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারী সমাজের পক্ষ থেকে ৩১দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)। নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ওই সকল প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হলে নির্বাচনে সকল নাগরিকের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং ভয়ভীতিমুক্ত উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত হবে বলে বিএনপিএস’র পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

সোমবার রাজধানীর বাবর বোড¯’ বিএনপিএস মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই সকল প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। বিএনপিএস’র নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বিএনপিএস’র পরিচালক শাহনাজ সুমী।

স্বাগত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপে বসলেও দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীসমাজকে আলোচনার আহ্বান জানায়নি। যদিও নারীসমাজের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল নাগরিক স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত সেবকদের নির্বাচিত করতে পারবে। যাদের দ্বারা গণতন্ত্র সুসংহত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের প্রতি ৯ দফা প্রস্তাবনায় বলা হয়, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরি¯ি’তি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যব¯’া নিতে হবে। নারী, দরিদ্র এবং জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যাল্প জনগোষ্ঠীর নাগরিকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। ধর্মীয় উগ্রবাদী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর চোরাগোপ্তা হামলা ও নাশকতার ঘটনা ঘটার আশংকা আছে এমন এলাকায় বিশেষ ক্যাম্প ¯’াপন করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ১২দফা প্রস্তাবনা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে তা অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়। সেখানে উত্তরাধিকারে নারী-পুরুষ সমান অধিকার নিশ্চিত, নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আইন পরিবর্তন, নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, নারীর প্রতি আয়বৈষম্য কমানোর জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, দলের সকল পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীকে জাতীয় সংসদসহ সকল নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। 

গণমাধ্যমের জন্য তুলে ধরা ৪দফা প্রস্তাবনায় বলা হয়, নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকাল ও নির্বাচনপরবর্তী সময়ে কোথাও কোনো দল বা প্রার্থী বা তার সমর্থকরা নারী, সংখ্যাল্প ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর কোনো নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা চাপ প্রয়োগের ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিকে উসকে দিয়ে কোনো প্রার্থীর বিপক্ষে প্রচারণা চালানো হলে বা কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোটপ্রার্থনা করা হলে এবং নারী অধিকার ও সংবিধানবিরোধী কোনো বক্তব্য রাখলে তথ্যপ্রমাণসহ তা প্রচার করতে হবে। নির্বাচন বিষয়ক সকল প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট নারী ও পুরুষের লিঙ্গভিত্তিক সংখ্যাচিত্র তুলে ধরতে হবে।

এছাড়া নাগরিক সমাজের প্রতি ৬দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, ভোটারদের ‘ভোটার এডুকেশন’-এর ব্যব¯’া করতে হবে। কোনোরকম আর্থিক লেনদেন বা ভয়ভীতি দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সচেতনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে। সংবিধান এবং নারী ও সংখ্যাল্প জনগোষ্ঠীর সমানাধিকার বিরোধী, নারী নির্যাতনকারী, ঋণখেলাপি, করখেলাপি, সন্ত্রাসীবাহিনীর গডফাদার ও যুদ্ধাপরাধীকে নিজেদের মূলবান ভোট প্রদান না করা এবং প্রার্থী হিসেবে এদের বর্জনের ব্যাপারে অন্যদের উৎসাহিত করতে হবে।