News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

৯৬ শতাংশের বেশি ইভিএমই নষ্ট

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক নির্বাচন 2024-03-04, 10:21am

jkhjasdiuiod-ee1f4ed16ae301eb21633d27db1925f71709526142.jpg




গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট প্রয়োগে মেশিন বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি অনুসৃত হয় বলে সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নামে পরিচিত। বাংলাদেশে প্রথম ইভিএম ব্যবহার হয় ২০১১ সালে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএমের মালিক। তবে এই দেড় লাখ মেশিনের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার, অর্থাৎ ৯৬.১৯ শতাংশ মেশিনই নষ্ট হয়ে গেছে। যার মূল্য প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।

এদিকে বাকি ৪০ হাজারও অকেজো হওয়ার পথে। এই মেশিনগুলোর আয়ু ১০ বছর হলেও ৫ বছরেই সবগুলোই মৃতপ্রায়। সরকারি সম্পদ, এই ইভিএম মেশিনগুলো পড়ে রয়েছে অনাদরে-অবহেলায়।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে প্রতিটি ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দামে প্রায় দেড় লাখ ইভিএম কেনা হয়। সেসময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) খরচ করে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। তবে ওই নির্বাচনে মাত্র ৬টি আসনে ইভিএমে ভোট হয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট করতে ইসি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় ইভিএমে ভোটও হয়নি। এ পর্যন্ত সংসদ, স্থানীয় ও উপনির্বাচন মিলে প্রায় ১৪০০ নির্বাচন হয়েছে ইভিএমে। আর ভোট দিয়েছে প্রায় আড়াই কোটি ভোটার।

চলতি বছরের জুনে শেষ হচ্ছে ইভিএম প্রকল্প। তাই মেশিনগুলো নিয়ে কারো কোনো নড়চড় নেই। হাজার হাজার কোটি টাকার মেশিন নিয়ে ভাবছে না ইসি বা প্রকল্প কর্মকর্তারাও। নষ্ট ইভিএমগুলো আর টেনে নিতে চায়না নির্বাচন কমিশনও। শেষ পর্যন্ত চার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ভাগাড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান এ বিষয়ে বলেন, এই ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম নষ্ট হওয়ার কারণ হচ্ছে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা। দশ বছর মেয়াদ থাকলেও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে নানা কারণে ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বরাদ্দ চেয়েও পাওয়া যায়নি, নষ্ট ইভিএম দিয়ে তো কিছু করার নেই। তবে ভবিষ্যতে নতুন করে ইভিএম কেনা নিয়ে কমিশনের তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই।