News update
  • Concerns grow over Rooppur NPP’s viability for high costs     |     
  • Fire Breaks Out at Ctg Towel Warehouse, Contained After Hour     |     
  • Independence Day parade planned in all districts sans Dhaka     |     
  • 32 Dead as US Storm Brings Tornadoes and Wildfires     |     
  • UNRWA Situation Report #163 on Crisis in Gaza and West Bank     |     

বিসিএস পরীক্ষার নতুন রোডম্যাপ দিলো জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পরীক্ষা 2025-02-09, 12:18pm

erqwrqwerwq-e53f6e56125310f94aa807ac29219c341739081900.jpg




সংস্কার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা নিয়ে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। বিসিএস পরীক্ষা থেকে শুরু করে পদায়নের একটি রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে এতে। এ ছাড়া পরীক্ষায় মৌলিক বিষয়ের নম্বর পুনর্বণ্টনসহ তিনটি পূর্ণ কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেছে।  

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিসিএস পরীক্ষাসংক্রান্ত তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। চেয়ারম্যানসহ প্রতিটি কমিশনে ৮ জন সদস্য রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

এরমধ্যে আছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (সাধারণ); শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সার্ভিস ব্যতীত অন্য সব সার্ভিসে নিয়োগ ও পদোন্নতি পরীক্ষা আয়োজন করবে এটি। এ ছাড়া আছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (শিক্ষা) ও পাবলিক সার্ভিস কমিশন (স্বাস্থ্য)। এই কমিশন দুটো শুধুমাত্র শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সার্ভিসের জনবল নিয়ে কাজ করবে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসনে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে যাতে সহজেই সেটি পরিবর্তন করা না যায়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়রেখা প্রতিষ্ঠা করা উচিত।

প্রতিবেদনে একটি পরীক্ষা ও পদায়নের রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী, পিএসসির পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এবং প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে। পরে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ হবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। এরপর লিখিত পরীক্ষা হবে জুন মাসের দ্বিতীয়ার্ধে এবং পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হবে পরবর্তী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। এর ফল প্রকাশিত হবে এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। এরপর নিয়োগের আদেশ গেজেটে প্রকাশ হবে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। জুলাইয়ের এক তারিখে তারা যোগদান করবেন।

সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার জন্য ৬টি আবশ্যক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। সেগুলো হলো- বাংলা রচনা ১০০ নম্বর, ইংরেজি রচনা ১০০ নম্বর, ইংরেজি কম্পোজিশন এবং প্রেসি ১০০ নম্বর, বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ১০০ নম্বর, আন্তর্জাতিক ও চলতি বিষয়াবলি ১০০ নম্বর, সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ ও পরিবেশ এবং ভূগোল ১০০ নম্বর। তবে মৌলিক বিষয়ের মধ্যে গণিত রাখার সুপারিশ করা হয়নি।

বিসিএসের মূল লিখিত পরীক্ষায় আবশ্যিক বিষয় ছাড়াও সিলেবাসে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পঠিত কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং আইন ইত্যাদি গুচ্ছ থেকে ৬টি ঐচ্ছিক বিষয় (প্রতিটি ১০০ নম্বরের) অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে। তবে, সংস্কার কমিশন বলেছে, কোনো গুচ্ছ হতে দুটির বেশি বিষয় বা পেপার নির্বাচন করা যাবে না। 

এ ছাড়া লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের ন্যূনতম নম্বর ৬০ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল ব্রেকডাউনসহ প্রকাশ করা উচিত বলে অভিমত কমিশনের। আরটিভি