প্রতিবছরই কমছে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা। গত চার বছরের ব্যবধানে পরীক্ষার্থী কমেছে তিন লাখেরও বেশি। চলতি বছরই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি এক লাখের মতো। এমনকি পরীক্ষার প্রাথমিক ধাপ রেজিস্ট্রেশন আর চূড়ান্ত ধাপ-ফর্ম পূরণ করেও অনেকেই বসছে না পরীক্ষার হলে।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা এসএসসি পরীক্ষা। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রথম ধাপের এই পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যার মাধ্যমে দেশের শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যানের বিভিন্ন চিত্র ফুটে ওঠে। তবে গেল কয়েক বছর ধরেই ক্রমাগতভাবে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার। ২০২২ সালে পরীক্ষা দিয়েছে ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন। ২০২৩ সালে পরীক্ষায় বসেছিল ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। আর ২০২৪ সালে পরীক্ষা দিয়েছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।
গত চার বছরের ব্যবধানে চলতি বছর তিন লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী কমে তা ১৯ লাখ ২৮ হাজারে নেমেছে। শুধু গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় এক লাখ।
এছাড়া এবারের পরীক্ষার প্রথম দিনেই প্রায় ২৭ হাজার আর দ্বিতীয় দিনে প্রায় ২৯ হাজার পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘প্রতিবছর নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে বিগত বছরের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সংখ্যা মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েক বছরে পাসের হার অত্যন্ত বেশি হয়ে গেছে। এতে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও কমে এসেছে। যে কারণে মোট পরীক্ষার্থী হ্রাস পেয়েছে।’
তবে বোর্ডের এই বক্তব্যকেই পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার একমাত্র কারণ হিসেবে দেখছেন না গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ছেলেদের কাজে যোগদান আর মেয়েদের বাল্যবিয়ের কারণেও এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। তাই শিক্ষার হার বাড়ানোর পাশাপাশি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কমার প্রবণতা রোধে শিক্ষার ব্যয় কমাতে হবে।’