
সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর)। এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার ঢাকাসহ দেশের ১৭টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ বছর আসনপ্রতি লড়বেন ৯ জন (৯ দশমিক ৪০ জন) ভর্তিচ্ছু।
মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে ভর্তিচ্ছুদের জন্য জরুরি কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার দিন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে নিজ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের একটি স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র বা রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে সকাল ৮টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে আবশ্যিকভাবে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
এর বাইরে কোনো ব্যাগ, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ঘড়িসহ অন্য কিছু নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর আর কাউকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
নির্দেশনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্র ফাঁসের যেকোনো গুজব বিশ্বাস না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কোনো গুজব কেউ ছড়ালে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আসন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মোট আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি। এর মধ্যে এমবিবিএস ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫টি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ৭ হাজার ৪০৬টি। এর মধ্যে এমবিবিএস ৬ হাজার ১টি এবং বিডিএস এক হাজার ৪০৫টি। অর্থাৎ, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি, যার মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১১ হাজার ১০১ এবং বিডিএস কোর্সে এক হাজার ৯৫০টি আসন রয়েছে।
এদিকে ১৩ হাজার ৫১টি আসনের বিপরীতে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। সেই হিসাবে আসনপ্রতি লড়বেন ৯ জন (৯ দশমিক ৪০ জন) ভর্তিচ্ছু। আবেদনকারীদের মধ্যে ছাত্র ৪৯ হাজার ২৮ জন এবং ছাত্রী ৭৩ হাজার ৬০৪ জন।