
সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রকাশ হয়েছে। মোট পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণ শুরু হবে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে।
মেডিকেল-ডেন্টালের ফল পুনঃনিরীক্ষণে আবেদন করবেন যেভাবে
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা ফি দিয়ে পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন করা যাবে। চলবে আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। টেলিটক সিমের মাধ্যমে ফি জমা দিয়ে পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাবে।
পুনঃনিরীক্ষার ফল আবেদনকারীকে টেলিটক বাংলাদেশ থেকে এসএমএসের (SMS) মাধ্যমে যথাসময়ে জানানো হবে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণ পদ্ধতি
টেলিটকের যেকোনো প্রিপেইড মোবাইল থেকে এসএমএস করতে হবে।
১ম SMS: DGME<Space>RSC<Space>Roll No. লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে। (যেমন DGME <Space>RSC Space>1116000) ফিরতি Message এ একটি PIN নম্বর আসবে।
২য় SMS: ফি প্রদানের জন্য প্রাপ্ত PIN নম্বর দিয়ে SMS করতে হবে DGME< Space >RSC<Space>YES<Space>PIN এবং পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে "(যেমন: DGME<Space>RSC<Space>YES<Space>12345678)" ফিরতি SMS-এ দিক প্রমা বাবদ একটি প্রাপ্তি স্বীকার SMS পাওয়া যাবে।
এর আগে বিকেলে ফল প্রকাশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
ফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য নিবন্ধিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৯৮ দশমিক ২১ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী, যা ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অনিয়মের দায়ে ২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়
এবার ভর্তি পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮১ হাজার ৬৪২ জন পরীক্ষার্থী। মোট পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। উত্তীর্ণদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন, যা মোট পাস করা পরীক্ষার্থীর ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। অপরদিকে নারী পরীক্ষার্থী পাস করেছেন ৫০ হাজার ৫১৪ জন, যা ৬১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ/ইউনিটসমূহে আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএস ৫ হাজার ১০০টি এবং বিডিএস ৫৪৫টি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ/ইউনিটসমূহে আসন সংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএস ৬ হাজার একটি এবং বিডিএস ১ হাজার ৩৬০টি। এমবিবিএস কোর্সের ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সের ১ হাজার ৯০৫টি, অর্থাৎ সর্বমোট ১৩ হাজার ছয়টি আসন।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। এবার নতুন যোগ হওয়া মানবিক গুণাবলি বিষয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা ১৫ মিনিট বেশি পান। সারা দেশে একযোগে ১৭টি কেন্দ্রের ৪৯টি ভেন্যুতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।