News update
  • Foreign Debt Repayment Hits $4 Billion in Record High     |     
  • Bangladesh Orders 25 Boeing Jets Ahead of Key US Trade Talks     |     
  • Bus ploughs into football match in Cumilla; 1 killed, 5 hurt     |     
  • CA Prof Yunus holding talks with 12 more political parties     |     

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ চলাচল স্বাভাবিক

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পর্যটন 2024-07-08, 11:02am

eiruiewuoior-d92f8b9483851c05d0789c481c6e07a51720414974.jpg




টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে ৩৩ দিন পর স্বাভাবিক হয়ে পণ্যবোঝাই ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করছে।

রোববার (৭ জুলাই) সকালে টেকনাফ ঘাট থেকে ২টি ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রী নিয়ে ৪টি ট্রলার ও ৭টি স্পিডবোট দুপুর সাড়ে ১২টায় টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছায়।

জানা গেছে, মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রশাসনের সহযোগিতায় বিকল্প পথে দুইবার সেন্টমার্টিনে আসা-যাওয়া করে ট্রলার। পরবর্তী সাগর উত্তাল থাকার কারণে বিকল্পপথও বন্ধ হয়ে যায়।

অবশেষে রোববার দফায় দফায় ১০টা পর্যন্ত সেন্টমার্টিন জেটি থেকে ৩টি ট্রলার ও ৭টি স্পিডবোট যাত্রী নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দুপুর ১টার মধ্যে নিরাপদে ট্রলার ও স্পিডবোটগুলো টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পৌঁছায়। সেখানে প্রায় ২৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিল।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রশাসনের সহযোগিতায় বিকল্প পথে দুইবার সেন্টমার্টিনে আসা-যাওয়া করে ট্রলার। পরবর্তীতে সাগর উত্তাল থাকায় বিকল্প পথও বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে রোববার সকাল ৯টা থেকে সেন্টমার্টিন জেটি থেকে যাত্রী নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে নৌযান চলাচল শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ট্রলার ও স্পিডবোটগুলো টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে নিরাপদে পৌঁছেছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, স্বাভাবিক হচ্ছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল। এখন পর্যন্ত সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রীবাহী ৪টি ট্রলার ও ৭টি স্পিডবোট টেকনাফ পৌঁছেছে। আর ২টি খাদ্যপণ্য বোঝাই ট্রলার টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। যা বিকেল নাগাদ দ্বীপে পৌঁছে যাবে। আশা করি, সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে দফায় দফায় সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাত্রী ও পণ্যবোঝাই ট্রলার ও স্পিডবোটে গুলি করে মিয়ানমারের ওপার থেকে। গুলিবর্ষণের এসব ঘটনায় হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দ্বীপে খাদ্য সংকট ও জরুরি আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।

১২ জুন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের জরুরি সভায় বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করে যাত্রীদের আসা-যাওয়া ও পণ্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ১৩ জুন থেকে টেকনাফের সাবরাং মুন্ডার ডেইল উপকূল ব্যবহার করে শুরু হয় যাত্রীদের আসা-যাওয়া। ১৪ জুন কক্সবাজার শহর থেকে দ্বীপে পণ্য নিয়ে যায় জাহাজ। আর বিকল্প পথ হিসেবে শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনে সীমিত পরিসরে কিছু নৌযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে ২২ জুনের পর থেকে সেটিও বন্ধ রয়েছে। আরটিভি