News update
  • Belem countdown: Climate talks race to the finish     |     
  • 100 rooms of a colony burned to ashes in Gazipur     |     
  • BNP demands Returning Officers, Assistant ROs from EC’s staff     |     
  • Stocks extend gains as market sentiment turns brighter     |     
  • Massive fire at Gazipur factory; 500 workers evacuated     |     

ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মাসের জন্য সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পর্যটন 2025-01-28, 4:59pm

11773d0bd9b840d55a045b7a56ded8bc072307e7f48f21da-2ab42b7eaf7ca21d08ed405e7a51f7d81738061968.jpg




পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে ৯ মাস (ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর) পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা এটি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানোর দাবি জানালেও আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, দেশের সর্ব-দক্ষিণের দ্বীপ সেন্টমার্টিন। কক্সবাজার থেকে সমুদ্রপথে ৬ ঘণ্টার জাহাজযাত্রা শেষে দ্বীপটিতে পৌঁছান ভ্রমণপিপাসুরা। সাগরের স্বচ্ছ নীল জলরাশি আর দ্বীপের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ সবাই।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিবছর ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পর্যটক যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু এ বছর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পর্যটক সীমিতকরণসহ নানা বিধি-নিষেধ জারি হয়। যেখানে নভেম্বর মাসে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন কিন্তু রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দুই হাজার পর্যটক যেতে পারবে ও রাত্রিযাপন করতে পারবেন আর ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন না।

তবে যথাসময়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি না পাওয়ায় গত বছরের নভেম্বরে পর্যটকরা যেতে পারেননি সেন্টমার্টিন। আর গত বছরের পহেলা ডিসেম্বর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি হলেও ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাচ্ছেন পর্যটকরা।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে, আগামী ৩১ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে চলতি পর্যটন মৌসুমে সেন্টমার্টিন যাত্রা; যার কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।

দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘দুই মাসের আয় দিয়ে সেন্টমার্টিনবাসীর বাকি ১০ মাস চলা সম্ভব নয়। এ জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বীপ উন্মুক্ত রাখার দাবি জানাচ্ছি।’

হোটেল মোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি এমএ রহিম জিহাদী বলেন, ‘অতীতে এ রকম কোনো সংকট দ্বীপে তৈরি হয়নি। এখন যদি দ্বীপে পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে নানামুখী সংকটে পড়বেন বাসিন্দারা। দ্বীপে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার মানুষ। তাই মানবিক বিবেচনায় পর্যটকদের জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপ উন্মুক্ত করার দাবি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের।’

সি-ক্রুজ অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘অন্তত ফেব্রুয়ারি মাসটা পর্যটকদের জন্য সেন্টমার্টিন উন্মুক্ত রাখার অনুরোধ করছি। এতে দ্বীপের মানুষের এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষতিটা অনেকাংশে পুষিয়ে নিতে সহজ হবে।

তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছাড়া ভ্রমণ সময় বাড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, ‘৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিনগামী জাহাজগুলো চলাচল করতে পারবে। এরপর আর পর্যটকবাহী জাহাজগুলো চলাচল করতে দেয়া হবে না। যদি সরকার বর্ধিতকরণের কোনো নির্দেশনা প্রদান করে, সেক্ষেত্রে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দ্বীপটিতে বসবাস করে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। সময়