News update
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     

লাখো পর্যটকের উল্লাসে মেতে উঠেছে কক্সবাজার সৈকত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পর্যটন 2025-04-01, 6:22pm

rett363-4ae0580ab86d9b79a35deb52548011f41743510167.jpg




ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছে। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভের ইনানী পাটুয়ারটেক পাথুরে সৈকত পর্যন্ত পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। কক্সবাজার সাগর পাড়ের হোটেল, গেস্ট হাউসও এখন ভরে গেছে পর্যটকে। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেই আজ ঈদের পরের দিন সকাল থেকে দীর্ঘ সৈকতে মেতে উঠেছে লাখো পর্যটকের উল্লাসে। সাগরের নীল জলরাশিতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন আগত পর্যটকরা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ছুটি কাটাতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভিড় করছেন লাখো পর্যটক। গরম উপেক্ষা করে সৈকতের সব পয়েন্টে যেন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ইনানীর পাথুরে সৈকত, পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরও পর্যটকে মুখরিত হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন, এই পাঁচ দিনে গড়ে দেড় লাখ করে সাড়ে সাত লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। 

তারা বলছেন, এবারের ঈদে ৯ দিনের ছুটিতে চাকরিজীবীদের বড় একটি অংশ সপরিবারে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। আর লম্বা ছুটি বা বিশেষ দিনে ভ্রমণপিপাসুদের বরাবরই পছন্দের জায়গা কক্সবাজার। এখানে সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পাহাড়, নদী, ছড়া, ঝিরি-ঝরণাসহ প্রকৃতির অপরূপ সব সৌন্দর্য দেখার সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের ৫১৬টি হোটেল-মোটেলের ৮০ শতাংশই অগ্রিম বুকিং হয়ে আছে।

এদিকে ঢাকার মতিঝিল থেকে আগত পর্যটক তাসনিম হোসাইন বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। তবে প্রচণ্ড গরম। তারপরও সৈকতের নোনাজলে পা ভেজাতে পেরে আমরা অনেক খুশি।

কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থেকে আগত পর্যটক উর্মি শারমিন বলেন, প্রথমবার কক্সবাজারে আসছি। তবে হোটেল বুকিং দিয়ে আসিনি। সকাল থেকে রুম খুঁজছি। ভালো মানের হোটেল ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার নিচে পাচ্ছি না। আমাদের বাজেট রয়েছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।

কক্সবাজার হোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, আবহাওয়া যেমনই থাকুক, ঈদুল ফিতরে পর্যটন আবারও চাঙা হবে। তবে বন্ধের ১১ দিনই ব্যবসা জমলে ব্যবসায়ীরা আরও লাভবান হবে।

তিনি হোটেল-মোটেল মালিকদের বরাত দিয়ে বলেন, রমজান মাসের আগের চার মাসে বিপুলসংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ঘুরতে এসেছেন। প্রতি সপ্তাহে গড়ে আড়াই লাখ থেকে তিন লাখ পর্যটক এসেছিলেন। আর গত বছর ঈদুল ফিতরের ছুটিতে অন্তত ১০ লাখ পর্যটকের সমাগম হয়েছিল। এবার অনেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে অনলাইন বা ফোনে যোগাযোগ করে কক্ষ বুকিং দিয়েছেন। ২ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে। কক্সবাজার শহর ও মেরিন ড্রাইভের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্টে প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

সি সেফ লাইফগার্ডের সিনিয়র লাইফগার্ড জয়নাল আবেদীন বলেন, রমজানে কক্সবাজারে পর্যটক ছিল না বলেই চলে। এ সুযোগে লাইফগার্ড কর্মীরা দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজেদের ট্রেনিং কার্যক্রমও চালিয়েছেন। এখন ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের সেবা দিতে সবাই প্রস্তুত।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের অতিরিক্ত চাপ বাড়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষণিক টুরিস্ট পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও পর্যটকদের সেবা দিতে তৎপর রয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, পর্যটকরা এসে যাতে ভালো সেবা পান এর জন্য পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ, অন্যান্য ক্ষেত্রে হয়রানি রোধ এবং নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সৈকতে ও আশপাশের বিনোদনকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে। যে কোনো অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আরটিভি