News update
  • BB to appoint administrators to merge troubled Islami banks     |     
  • Bangladesh Bank allows loan rescheduling for up to 10 years     |     
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     

মহিষের দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য কাজ করতে হবে

পশুসম্পদ 2025-02-16, 11:26pm

fisheries-and-livestock-adviser-farida-akhter-4ef13011a921e340e72fd0bbefe3bf841739726776.jpg

Fisheries and Livestock Adviser Farida Akhter



ঢাকা,  ১৬ ফেব্রুয়ারি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মহিষের মাংসে কোলেস্টেরল কম, তাই মহিষের মাংসকে জনপ্রিয় করতে হবে। দেশের নানা স্থানে মহিষের দুধ থেকে তৈরি দইয়ের নানা বৈচিত্র্য দেখা যায়। মহিষের দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য কাজ করতে হবে। মহিষ পালনকারী খামারিদের সকল প্রকার সহাযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, সংগৃহীত তথ্য নিয়ে গবেষণা করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) বাস্তবায়নাধীন মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাস্তব। তাই এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন প্রাণী হিসেবে মহিষকে অনেক গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। মহিষ বৈষম্যের শিকার হওয়া একটি প্রাণী। তাই মহিষ পালনকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে কাজ করতে হবে। অভিজ্ঞ খামারিরা মহিষের হিটে আসা শনাক্ত করতে পারেন, মহিষ সংক্রান্ত নানাবিধ জ্ঞান ধারন করেন। তাদের জ্ঞানকে বিজ্ঞানের ভাষায় প্রকাশ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প শেষে গবেষণা কার্যক্রমগুলোকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেনো কোন গ্যাপ না থাকে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, এ ধরণের গবেষণা হচ্ছে বলেই আমরা মহিষ সম্পর্কে জানতে পারছি। একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে তাদের আচরণ কি হবে তা নির্ভর করবে প্রতিষ্ঠানকে তারা কিভাবে দেখে। সেক্ষেত্রে বিএলআরআই-এর প্রতি গবেষকদের আবেগ, ভালোবাসা আমাদের মুগ্ধ করেছে। প্রাণিজ আমিষের ক্ষেত্রে বিএলআরআই-এর গবেষণার ফলাফল জনগণকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরণের গবেষণার ফলাফল ছোট পরিসরে নয় বরং আরো বড় পরিসরে হওয়া উচিৎ। তিনি প্রতিষ্ঠানটির নানাবিধ সংকট নিরসনে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও ব্যক্ত করেন।

বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বিএআরসি'র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ান। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিএলআরআই-এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. এ বি এম মুস্তানুর রহমান। এরপর মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, অগ্রগতি ও অর্জন তুলে ধরেন উক্ত প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক ও বিএলআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গৌতম কুমার দেব। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএরআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ। - তথ্যবিবরণী