News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

২০২৩ সাল: দৈনিক গড়ে ১২ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2024-01-30, 11:49am

sjdfsufois-a7f32f64c4a1f6c7cf136db7bb0dccce1706594071.jpg




দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উৎস হলো প্রবাসী আয়। দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি হিসেবে প্রবাসী আয়কে বিবেচনা করা হয়। এ খাত থেকে প্রতি বছর দেশে আসে বছরে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার; যা দেশের মোট জিডিপির ১২ শতাংশ। তবে শঙ্কার বিষয়টি হচ্ছে, উল্লেখযোগ্য হারে প্রবাসে শ্রমিকের মৃত্যু। ২০২৩ সালে দেশে এসেছে ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ। সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ১২ রেমিট্যান্স যোদ্ধার মরদেহ দেশে এসেছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বোর্ডের হিসাবে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরে গত ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃতদেহ দেশে এসেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪ হাজার ১০৭, ২০২১-২২-এ ৩ হাজার ৭৬২, ২০২০-২১-এ ৩ হাজার ৭৫৭ এবং ২০১৯-২০-এ ৩ হাজার ১২৬ জনের মরদেহ দেশে এসেছে। এসব শ্রমিকদের সিংহভাগের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছর। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যায় বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ ও মজুরি না, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, দিনে ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পরিশ্রম, দীর্ঘদিন স্বজনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা এবং ঋণ নিয়ে বিদেশ যাওয়ায় টাকা উপার্জনে মানসিক চাপ শ্রমিকদের মৃত্যুর জন্য অনেকাংশে দায়ী।

দেশের বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের ছয়টি দেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে বছরে ১০ হাজার প্রবাসী মারা যান। তাদের প্রতি দুজনের মধ্যে একজনের বেশি প্রবাসীর মৃত্যুর কোনো অন্তর্নিহিত কারণ কার্যকরভাবে ব্যাখ্যা করা হয় না। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হিসেবে মৃত্যুসনদ দেওয়া হয়। বিপজ্জনক ঝুঁকি সত্ত্বেও কর্মীদের ওপর তাপের প্রভাব সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। তাপ-সংক্রান্ত কারণে মৃত্যুর কথা সরকারি হিসেবে জানা যায় না। দিনের বেলায় প্রচণ্ড তাপের মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়। এতে তাপজনিত নানান রোগে শুধু কিডনি নয়, মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে শরীরের সব অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাসার, অনেকেই মনে করেন বিদেশে গেলেই রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাবেন। কথাটি একদমই ভুল। প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত। ঋণ এবং অনেকে সুদে টাকা নিয়ে প্রবাসে কাজ করতে যান। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ ও মজুরি না পাওয়ায় দুশ্চিন্তা গ্রাস করে তাদের। এ কারণেই বেশি মৃত্যু হয়।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, প্রতিবছর যে হারে প্রবাসী শ্রমিক মারা যাচ্ছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। যেসব শ্রমিকের মরদেহ দেশে আসছে তাদের থেকে স্যাম্পলিং করে মন্ত্রণালয়কে গবেষণা করে বের করতে হবে যে, কী কারণে আমাদের প্রবাসীরা মারা যাচ্ছে।

মৃত্যুহার কমাতে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মৃত্যুর কারণগুলো নিয়ে যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে কাজ করে সঠিক কারণ জানা এবং সে অনুযায়ী বিদেশ যাওয়ার আগেই প্রবাসীদের সচেতন করলে মৃত্যু কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা যাবে। সেই সঙ্গে ভালো কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা, বিদেশযাত্রার খরচ কমানো, দক্ষকর্মী পাঠানো হলে মৃত্যু কমানো সম্ভব।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, কম খরচে শ্রমিকদের বিদেশে পাঠানো নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সরকারি এবং কম খরচে যেন শ্রমিকরা বিদেশে যেতে পারেন এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করছি। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।