News update
  • Arab-Islamic Summit yields limited action over Israeli strike on Doha     |     
  • National Consensus Commission term extended till October 15     |     
  • EU Helping BD prepare for free, fair elections: Envoy Miller     |     
  • Chandpur’s century-old municipal clinic closes: Poor in peril     |     
  • Israeli Aggression against Qatar, Extension of Crimes against Palestine     |     

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা লুট!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2024-06-04, 10:27am

rgstet-6c08ea7370eb08f94a4e832517e1af101717475341.jpg




দেশের ইতিহাসে বিদেশে কর্মী পাঠানোর সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। কর্মী পাঠানোর নামে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লুট করা হয়েছে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার মতো। অভিবাসন বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর নামে তিন দশক ধরে চলছে এ লুণ্ঠন।

মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, গত শুক্রবার (৩১ মে) পর্যন্ত দেশটিতে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জন বাংলাদেশি কর্মীকে পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ছাড়পত্র দেয় প্রায় ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪২ জনকে। অজ্ঞাত কারণে বাদ দেয়া হয় ৩২ হাজার কর্মীকে।

কথা ছিল, জনপ্রতি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা করে দেবেন কর্মীরা। এ খরচের ভেতরে আছে: পাসপোর্ট খরচ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিবন্ধন ফি, কল্যাণ ফি, বিমাকরণ, স্মার্ট কার্ড ফি ও সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ। আর ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার উড়োজাহাজ ভাড়াসহ ১৫টি খাতের খরচ বহন করবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

এ অবস্থায় তালিকাভুক্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪২ জনের কাছ থেকে সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ার আমিন নুর ও দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো হাতিয়ে নেয় নির্ধারিত ফি বাদে গড়ে পৌনে ৫ লাখ টাকা করে, যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা।

এদিকে, ৯৩৩ কোটি টাকা খরচ করেও মালয়েশিয়া যেতে পারেননি প্রায় ১৭ হাজার অনুমতিপ্রাপ্ত কর্মী। আর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এর দায় চাপান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) কাঁধে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তালিকা তৈরি করে আমাদেরকে দিলে আমরা সেই অনুপাতে ফ্লাইটের ব্যবস্থা করি। কিন্তু বায়রা কোনো তালিকা আমাদের দেয়নি।

তবে অভিবাসন বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। মূলত প্রভাবশালীমহলের ছত্রছায়ায় বারবার লোপাট হচ্ছে জনগণের কোটি কোটি টাকা।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান কর্মকর্তা শরীফুল হাসান সময় সংবাদকে বলেন, মালয়েশিয়ার পুরো সিস্টেমটা নিয়ন্ত্রণ করেন আমিন নুর নামে এক বাংলাদেশি। তিনি মালয়েশিয়ায় থাকেন। তিনি এবং বাংলাদেশের একটি চক্র মিলে এ কাজ করছেন। এতে দুদেশেরই প্রভাবশালী লোক রয়েছেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় যদি বলে যে, তাদেরকে তালিকা দেয়া হয়নি, তবে বিষয়টি দুঃখজনক। কারণ যে কর্মীরই অনুমোদন রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের তালিকা বিএমইটির কাছে আছে। কারণ কোনো কর্মীই বিএমইটি বা মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন ছাড়া যেতে পারেননি। আসলে এ ধরনের কথা বলা মানে নিজেদের দায় এড়ানো। 

এদিকে, অনিয়মের কথা স্বীকার করে বায়রা মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, পুরো প্রক্রিয়ায় ছিলো তদারকির অভাব।

তিনি বলেন, লোকজন যেহেতু যেতে পারেননি, তাই এর দায়ভার তো আমাদের কিছুটা নিতে হবে। আমরা বলতে আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সিসের কথা বলছি। ২০১৮ সালেও মালয়েশিয়া সরকার বন্ধ করায় ৫২ হাজার কর্মী যেতে পারেননি। যখনই কোনো সংকট আসে, তখনই এয়ারলাইন্সগুলো সুযোগটা নেয়। এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। কাজেই এ বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে।

গত ৩১ মে পর্যন্ত কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত ছিল ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সি। ২০১৮ সালে মানবপাচার ও ৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এনে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ করে মালয়েশিয়া সরকার। এরপর ২০২২ সালে আবারও শ্রমবাজার খুলে দেয় দেশটি। সময় সংবাদ