News update
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     
  • Dhaka’s air quality recorded ‘unhealthy’ Friday morning     |     
  • Dr Yunus proved impact of innovative economics: Peking Varsity Prof     |     
  • Alongside conflict, an info war is still happening in Gaza     |     

প্রবাসীদের জন্য বিমানবন্দরে স্পেশাল লাউঞ্জ হবে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2024-10-05, 7:14pm

fgdsfsdfsd-feb2226df68ff40b3924d667db21b8e01728134080.jpg




প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিমানবন্দরে স্পেশাল লাউঞ্জের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় একাত্তর হলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ বিষয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এবং মালয়েশিয়ার পার্কেসোর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ আশ্বাস দেন তিনি।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘লাউঞ্জ হলে প্রবাসী শ্রমিক ভাই-বোনদের যন্ত্রণা অনেকটা দূর হবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য যে ভিআইপি সুবিধা, সেগুলোও থাকবে। বিমানবন্দরে প্রবেশের মুহূর্ত থেকে প্লেনে ওঠার আগ পর্যন্ত যে লাউঞ্জ থাকে, সেই পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে তাদের সঙ্গে একজন লোক থাকবে সহায়তার জন্য। আমরা মনে করি, এটি প্রবাসীদের প্রতি উদারতা নয়, এটি তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা। এটি বহু আগে করা উচিত ছিল।’

তিনি জানান, স্পেশাল এ লাউঞ্জের জন্য ইতোমধ্যে জায়গা ঠিক হয়েছে এবং সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে কথা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, আশা করি, দুই সপ্তাহের মধ্যেই কাজ হয়ে যাবে।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘গতকাল মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এসেছিলেন বাংলাদেশে। তার সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কল্যাণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি ১৮ হাজার বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন বলে ঘোষণা দেন। এর মানে এই নয় যে, নতুন কর্মী। এই ১৮ হাজার মানে নতুন চাকরি না, নতুন কর্মী নেওয়া হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ১৭ হাজারের কিছু বেশি কর্মীর সব কাগজপত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়া সরকারের সময়সীমার মধ্যে সেই দেশে যেতে পারেননি। বিভিন্ন ধরনের জটিলতার কারণে তারা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। যেহেতু ৩১ মের মধ্যে তারা যেতে পারেননি, তাই মালয়েশিয়া সরকার তাদের গ্রহণ করেনি। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের শ্রমিক ভাই-বোন অনেক টাকা দিয়েছিলেন মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য। আমি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছিলাম, এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য।

আসিফ নজরুল বলেন, হোটেলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরুর আগে এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এই ১৮ হাজার বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এখন একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, প্রতিশ্রুতি মানেই কিন্তু নিশ্চিত না।

তিনি বলেন, আমরা মালয়েশিয়ায় আমাদের হাই কমিশন এবং আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে যত দ্রুত সম্ভব প্রচেষ্টা চালাবো। আজ রাতে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনারের সঙ্গে মিটিং আছে, সেখানে আমি বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবো, আমরা একটা রোডম্যাপ তৈরি করবো।

প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আমি বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনটি বিষয়ে আলোচনা করেছি। তার মধ্যে একটি আলোচনা হয়েছে মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রম বাজার পুনরায় চালু করার বিষয়ে। পাশাপাশি যে ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে রিক্রুটমেন্ট প্রসেস সীমাবদ্ধ ছিল, সেটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। সব রিক্রুটিং এজেন্সি যাতে কাজ করতে পারে এবং প্রক্রিয়াটি যেন স্বচ্ছ হয়। কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা যায় কি না সেটিও বলেছি।আরটিভি