News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

অভিবাসনে ব্যাপকহারে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত কানাডার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2024-10-26, 8:32am

canada_thum_1-624f5ae3904b6ec2938f070da26e18431729909968.jpg




কয়েক বছর ধরেই কানাডায় নতুন স্থায়ী বাসিন্দা ও অস্থায়ী ভিত্তিতে কানাডায় আসা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আবাসন ও ক্রয়ক্ষমতার পর চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন দেশটির মন্ত্রীরা। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কানাডায় অভিবাসন ইস্যুটি বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৮ শতাংশ কানাডিয়ান মনে করেন, দেশটি অনেক বেশি অভিবাসী গ্রহণ করে।

কয়েক বছর ধরে ব্যাপকহারে অভিবাসী গ্রহণ করার পর এবার অভিবাসন লক্ষ্যমাত্রাকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এই খবর জানিয়েছে।

চলতি বছর কানাডার জনসংখ্যা চার কোটি ১০ লাখে পৌঁছেছে। তাই দেশটিতে ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধি থামানো’র প্রয়াসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডার কর্তৃপক্ষ। এর আগে, ২০২৫ ও ২০২৬ সালে পাঁচ লাখ করে নতুন স্থায়ী বাসিন্দাকে নথিভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিল অভিবাসন মন্ত্রণালয়। তবে সংশোধিত অভিবাসন লক্ষ্যমাত্রায় এই সংখ্যা কমিয়ে ২০২৫ সালে ৩ লাখ ৯৫ হাজার এবং ২০২৬ সালে ৩ লাখ ৮০ করা হয়েছে। এদিকে, ২০২৭ সালের লক্ষ্যমাত্রা আরও কমিয়ে ৩ লাখ ৬৫ হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে।

গতকাল কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলছে, আজ অভিবাসন, শরণার্থী এবং নাগরিকত্বমন্ত্রী মার্ক মিলার ২০২৫-২০২৭ অভিবাসন স্তর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এটি এমন একটি পরিকল্পনা যা দীর্ঘমেয়াদে সুপরিচালিত, টেকসই বৃদ্ধি অর্জনের জন্য স্বল্প মেয়াদে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে কমাবে। প্রথমবারের মতো এই স্তর পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক ছাত্র এবং বিদেশি কর্মীদের পাশাপাশি স্থায়ী বাসিন্দাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সাফল্য এবং প্রবৃদ্ধির জন্য অভিবাসন অপরিহার্য। মহামারীর পরে কানাডার ঘুরে দাঁড়াতে কর্মীদের সরবরাহের চেয়ে ব্যবসার চাহিদা বেশি ছিল। কানাডায় বিশ্বের সেরা ও আকর্ষণীয় অধ্যয়ন এবং কাজের সুযোগ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। দ্রুত অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধারে আমরা সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। শক্তিশালী অভিবাসন মন্দা প্রতিরোধে সাহায্য করেছে।

আরও বলা হয়েছে, আমাদের দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রতিক্রিয়ায় এই ক্রান্তিকালীন স্তরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যা আবাসন, অবকাঠামো ও সামাজিক পরিষেবাগুলোর ওপর চাপ কমিয়ে দেবে। এতে দীর্ঘমেয়াদে আমরা অভিবাসনের মাধ্যমে আমাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমৃদ্ধি বাড়াতে পারব। এই অভূতপূর্ব পরিকল্পনাটি নতুনদের স্বাগত জানানোর জন্য একটি বিস্তৃত পদ্ধতির প্রস্তাব দেবে যা আমাদের অভিবাসন কর্মসূচির অখণ্ডতা রক্ষা করবে এবং নতুনদের সাফল্যে মনোযোগ ঘটাবে।