News update
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     

এবার উদ্ধারকৃত ৮ অভিবাসীকে আলবেনিয়া পাঠালো ইতালি

ডয়েচে ভেলে    প্রবাস 2024-11-11, 7:30am

ertretret-7b3efe0536f0900aac6cb4afcc7a94281731288649.jpg




নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে অনিয়মিত অভিবাসীদের দ্বিতীয় একটি দলকে আলবেনিয়া পাঠিয়েছে ইতালি। দলটিতে বাংলাদেশ ও মিশরীয় আট অভিবাসী রয়েছেন।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) অভিবাসীদের বহনকারী ইটালির জাহাজটি আলবেনিয়ার শেনজিন বন্দরে পৌঁছায়। এই আট অভিবাসী উত্তর আফ্রিকা থেকে নৌকায় করে ইটালি পৌঁছান। ইতালির নৌবাহিনীর জাহাজ কয়েকদিন আগে তাদের সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে। তবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় এই আট জনের মধ্যে একজনকে শনিবার ইতালিতে ফেরত আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা আনসা।

বাকিদের আশ্রয় আবেদন এখন প্রক্রিয়া করা হবে আলবেনিয়াতে। তারা ইতালিতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন নাকি নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে তা নির্ধারিত হবে বলকান অঞ্চলের দেশটিতেই।

ইউরোপ মহাদেশে অবস্থান হলেও আলবেনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়। নতুন স্কিমের অংশ হিসেবে ইতালি অনিয়মিত অভিবাসীদের আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য দেশটির সঙ্গে চুক্তি করেছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আলবেনিয়ার দুইটি আশ্রয় কেন্দ্রে মাসে তিন হাজার অভিবাসীর আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়া করা হবে।

সরকার জানিয়েছে, যাদের আশ্রয় আবেদন গৃহীত হবে তাদের ইতালিতে ফেরত আনা হবে। আর প্রত্যাখ্যাতদের আলবেনিয়া থেকেই নিজ দেশ ডিপোর্ট বা প্রত্যাবাসন করা হবে। এই স্কিমের অংশ হিসেবে অভিবাসীদের দ্বিতীয় এই দলটিকে আলবেনিয়ায় পাঠিয়েছে রোম। ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ইতালিই প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয় এমন তৃতীয় রাষ্ট্রে অভিবাসীদের আশ্রয় আবেদন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে, যার বিরোধিতা করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

আফ্রিকার উত্তর উপকূলগুলো থেকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে প্রতি বছরই অনেক অভিবাসী ইতালিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এই সংখ্যা ৬০ শতাংশ কমেছে। ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সাত নভেম্বর পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৭৬৭ জন সমুদ্রপথে দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। ইতালির ডানপন্থী জর্জা মেলোনির সরকার অনিয়মিত অভিবাসন রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

গত বছরের শেষ দিকে আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়াকরণে একটি চুক্তিতে সই করে ইতালি ও আলবেনিয়া সরকার। ইটালির এই স্কিমের দিকে নজর রাখছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য সরকারগুলোও। ইতালি সফল হলে আরো সদস্য দেশ এই পথে হাঁটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আদালতের সঙ্গে বিরোধ ইতালি সরকারের এই স্কিম বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আদালত। অক্টোবরে প্রথমবারের মতো ১০ বাংলাদেশি এবং ছয় মিশরীয়কে উদ্ধারের পর আলবেনিয়ার শেনজিন বন্দরের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু দেশটির আদালত এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রায় দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ বা মিশর নিরাপদ দেশের তালিকাভুক্ত না হওয়ায় তাদের ফেরত আনার নির্দেশও দেন বিচারকেরা। যে কারণে তিনদিনের মাথায় ঐ অভিবাসীদের ইতালিতে ফেরত আনতে বাধ্য হয় সরকার।

আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ২১ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে নতুন ডিক্রি জারি করে মেলোনি সরকার। এ বছরের জুনে সরকার ঘোষিত ১৯টি নিরাপদ দেশের তালিকাকে আইনে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যার মধ্যে মিশর ও বাংলাদেশকেও রাখা হয়েছে। কিন্তু এই ডিক্রি পরীক্ষা করে দেখতে ইউরোপীয় বিচার আদালতকে অনুরোধ জানিয়েছে বলোনিয়ার আদালত।

এদিকে প্রথম রুলের পরে ইতালির প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছেন আদালতের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে উপপ্রধানমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি বিচারকদের কম্যুনিস্ট বলে অভিহিত করেন। সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য হুমকির মুখে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা।আরটিভি