মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগে মেক্সিকো সীমান্তে বেড়েছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দের ঢল। উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় ঝুঁকি নিয়ে পরিবারসহ অনেকেই সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছেন। তাদের প্রত্যাশা, সীমান্ত বন্ধ করে দিলেও ট্রাম্প অভিবাসীদের সহজে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করতে পারবেন না।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার ফলে তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে অভিবাসীদের মনে। তাই তার ক্ষমতা গ্রহণের আগে, মেক্সিকো সীমান্তে ঢল নেমেছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের। প্রাণের মায়া ত্যাগ করে সবাই ছুটছেন উন্নত জীবনের প্রত্যাশায়।
যুক্তরাষ্ট্রে মেক্সিকো সীমান্তে দিয়ে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি সীমান্তে জড়ো হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শঙ্কা, ২০ জানুয়ারির পর দেশটিতে প্রবেশের পদ্ধতি আগের চেয়ে আরও অনেক বেশি কঠিন হতে পারে।
এক অভিবাসনপ্রত্যাশী বলেন, ট্রাম্প কী করতে চান সে বিষয়ে আমরা একেবারেই অনিশ্চিত। তিনি অনেক কিছুই বলেছেন। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, সবকিছু স্বাভাবিক হবে। তিনি আমাদের সহজে বের করতে পারবেন না।
অন্য আরেকজন বলেন, যে কারণে আমরা দেশ ছাড়ছি তা বোঝাতে পারাটা অনেক কঠিন। আমরা অনেক কষ্ট সহ্য করছি। আমাদের ত্যাগের কথা ওরা জানে না। আমরা আমাদের স্বপ্নকে তাড়া করে এখানে এসেছি।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম 'ট্রুথ সোশ্যালে' দেয়া একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি জারি করা হবে। নামানো হবে সেনাবাহিনী। সময় সংবাদ।