গাজায় ইসরাইলি অভিযানের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং বিভিন্ন দেশে অভিবাসীবিরোধী মনোভাবের কারণে ইউরোপজুড়ে বাড়ছে মুসলিমবিদ্বেষ। ইইউ’র ইসলামবিদ্বেষ নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
২০২৩ সালে ইউরোপের মুসলিমবিদ্বেষ নিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে উঠে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরাইলি অভিযানের বিষয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো এবং বিভিন্ন দেশে অভিবাসীবিরোধী মনোভাবের কারণে ইউরোপজুড়ে বাড়ছে মুসলিমবিদ্বেষ।
ইউরোপের ২৮টি দেশের সাধারণ মানুষের ‘মুসলিমবিরোধী’ মনোভাব বিশ্লেষণ করে রিপোর্টটি প্রস্তুত করেছেন তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক।
এতে বলা হয়, গাজায় ইসরাইলি হামলার পর ফরাসি প্রেসিডেন্টের তেল আবিবের প্রতি সমর্থন দিয়ে নানা বিবৃতি দেয়ার কারণে ফ্রান্সে মুসলিম বিদ্বেষ বেড়েছে। দেশটির সরকার স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধের কারণে মুসলিম শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এমন পদক্ষেপকে ম্যাক্রোঁ প্রশাসনের ‘মুসলিমবিরোধী মনোভাবকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ’ বলে উল্লেখ করা হয় রিপোর্টে। এতে আরও বলা হয়, সুইজারল্যান্ডে অভিবাসীবিরোধী মনোভাব সরাসরি মানুষকে ইসলামবিদ্বেষী করে তুলছে।
এছাড়া বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় সার্বিয়ার নাগরিকদের মধ্যে মুসলিমবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। কয়েকটি মসজিদ বন্ধ করে দেয়া এবং মসজিদের জন্য বরাদ্দ দেয়া জায়গায় হোটেল নির্মাণের মাধ্যমে দেশটির নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মুছে ফেলা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদন মতে, ২০২৩ সালে ১ হাজার ৫৮টি ইসলামবিদ্বেষের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৮৭৬টি জাতিগত বৈষম্য ও ৬২ বার মুসলিমবিরোধী হামলার ঘটনাও আছে। ইউরোপের দেশগুলোর সরকারকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। তথ্য সূত্র সময়।