News update
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     
  • IAEA Chief Calls for Renewed Commitment to Non-Proliferation     |     

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি ১০ ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2025-01-25, 12:16pm

etrewtewte-2a9636734b6d034239bc1e1fbcf9b2101737785802.jpg




মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি ১০ জন ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। কুয়ালালামপুরের প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক, দাতুক জাকারিয়া শাবান। খবর দ্য স্টারের।

বিবৃতিতে তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের (ফার্মেসি) কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরের গোয়েন্দা ও অপারেশন বিভাগসহ বিভিন্ন পদের একটি দল জালান তুন তান সিউ, লেবোহ, পুডুহ এবং জালান সিলাংসহ ১০টি স্থানে একটি বিশেষ অভিযান চালানো হয়।

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজনের কাছে পরিষেবা খাতের জন্য একটি অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস ও ছয়জনের কাছে নির্মাণ খাতের অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস ছিল। এ ছাড়া দুজন অতিরিক্ত সময় ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করেছিলেন এবং অন্যজনের কাছে কোনো ভ্রমণ নথি বা বৈধ পাস ছিল না।

ইমিগ্রেশন প্রধান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে জাল চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধ পাওয়া গেছে। অভিযানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৫০২ ধরনের অনিবন্ধিত ওষুধও জব্দ করেছে এবং জব্দ করা ওষুধের আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৬৫ হাজার ১৯২ রিঙ্গিত।

জাকারিয়া শাবান আরও বলেন, লাইসেন্সবিহীন এই বাংলাদেশি ভুয়া চিকিৎসকরা শুধু প্রবাসী রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতেন। এ ছাড়া জব্দকৃত ওষুধগুলো অনিবন্ধিত। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই, পর্যটক হিসেবে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসা হয়।

কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে রেস্টুরেন্ট বা খুচরা দোকানে বসে ছদ্মবেশে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। চিকিৎসা এবং ওষুধ বিক্রির জন্য প্রতিটি বাংলাদেশি গ্রাহকের জন্য ৫০ থেকে ২০০ রিঙ্গিত চার্জ করা হতো। এই অবৈধ কার্যক্রম প্রায় এক বছর ধরে চলছিল।

বিবৃতি অনুযায়ী, ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫২ এর ধারা ১৩(ক), বিষ (সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস) রেগুলেশন ১৯৮৯ এর রেগুলেশন ৩(১) এবং ১৯৮৪ সালের প্রবিধান ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস কন্ট্রোলের রেগুলেশন ৭(১) এর অধীনে ওই ১০ বাংলাদেশি ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। আরটিভি