News update
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     
  • New gas reserve found in old well at Sylhet Kailashtila field     |     
  • Revenue earnings shortfall widens in October     |     

ভারতের পুশ-ইন অব্যাহত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2025-05-31, 12:17pm

img_20250531_121509-3964fd25025c9a2f15c8a9034d322d051748672262.jpg




খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে নতুন করে ১৪ জনকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার ভোরে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের আচালং সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশ-ইন করা হয়। পরে তাদের আটক করে বিজিবি। আটকদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ৫ জন শিশু। 

আটককৃতরা জানান, ভারতের হরিয়ানা রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার করে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়েছে। এর আগে চলতি মাসে কয়েক দফায় খাগড়াছড়ির রামগড়, মাটিরাঙ্গা, পানছড়ির লোগাং সীমান্ত দিয়ে ৯২ জনকে ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়।

এর আগে, গত ৭ মে ভোরে মাটিরাঙ্গা উপজেলা দিয়ে ২৭ জন পুশ-ইন করা হয়। সেদিন মোট ৮০ জনকে পুশ-ইন করা হয়। প্রথমে তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সন্দেহ করা হলেও পরে খোঁজ নিয়ে বাংলাদেশি পরিচয় নিশ্চিত হলে তাদের পর্যায়ক্রমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এরপর গত ২২ মে রামগড় সীমান্তের ফেনী নদী দিয়ে একই পরিবারের পাঁচজনকে কোমরে প্লাস্টিকের বোতল বেঁধে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। গত ২৬ মে মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়নের আচালং পাড়া সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৯ জন এবং পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৪ জনকে পুশ-ইন করা হয়।

গত ২ মে রামগড় সীমান্তের ফেনী নদীতে একই পরিবারের ৫ জনকে পুশ-ইনের বিষয়টি তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি করে। স্থানীয়দের রেকর্ড করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, কোমরে প্লাস্টিকের বোতল বেঁধে উমেদ আলী, তার স্ত্রী ও তিন মেয়েকে ফেনী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে তারা ভাসতে ভাসতে তীরে এলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেন। 

উমেদ আলীর বাড়ি কুড়িগ্রামে। ১০ বছর আগে তিনি অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে হরিয়ানায় একটি ইটভাটায় কাজ শুরু করেন। পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের তথ্যমতে, প্রায় অন্তত ৪০০ জনকে গুজরাট থেকে একসঙ্গে ধরে আনা হয়েছে।

প্রশাসন জানায়, পুশ-ইন হওয়া সবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। গত ৭ মে প্রথম পুশ-ইন হওয়া ৮০ জনের মধ্যে ৭৩ জন কুড়িগ্রামের, ৬ জন নড়াইলের, এবং ১ জন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। কেবল মাটিরাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে এখন পর্যন্ত ৮৩ জনকে পুশ-ইন করা হয়েছে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম বলেন, পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কোনো ভারতীয় বা রোহিঙ্গা আসেননি। আমরা পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্য যাচাই করছি এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইউএনওদের সহযোগিতায় হস্তান্তর করছি। নতুন করে আসা ১৪ জনের মধ্যে ১২ জন কুড়িগ্রাম ও ২ জন দিনাজপুরের বাসিন্দা বলে জেনেছি। এ বিষয়ে আরও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

পানছড়ি উপজেলার সীমান্ত দিয়ে দুই দফায় মোট ৪৪ জনকে পুশ-ইন করা হয়েছে এবং তাদের সবাইকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা নাসরিন বলেন, এখন পর্যন্ত যাদের পুশ-ইন করা হয়েছে, সবাই বাংলাদেশি। আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের হস্তান্তর করেছি। 

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, শুক্রবার বৃষ্টির মধ্যেই জোরপূর্বক ১৪ জনকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়েছে। তারা বর্তমানে বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। তাদের পরিচয় যাচাই–বাছাই শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মাটিরাঙ্গা, রামগড় ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে মোট ১৩২ জনকে পুশ-ইন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৮ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছি এবং স্থানীয় প্রশাসন ও বিজিবি সতর্ক রয়েছে। আরটিভি।