
প্রবাসী ভোটারদের ভোট নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।
প্রবাসী প্রতি এক লাখ ভোটারের পেছনে সর্বোচ্চ ৭ কোটি টাকার মতো খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আর আগামী মাস থেকে প্রবাসীদের ভোটার অ্যাডুকেশনের কাজ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসী ভোটারদের জন্য চ্যালেঞ্জ আছে। কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা হারালে সেই আসনে পোস্টাল ব্যালট বন্ধ করে দেবে কমিশন। পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসীদের জন্য খরচ হবে প্রতি লাখ ভোটারের জন্য ছয় থেকে সাত কোটি টাকা। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন, তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং তারা ভোট দেবেন।
ভোট দেয়া প্রক্রিয়া বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যালটে প্রার্থীর নাম থাকবে না। প্রতীক ব্যালট যাবে প্রবাসীদের কাছে। সময় কমাতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ইসি সানাউল্লাহ আরও জানান, প্রবাসীদের ভোট দিতে রেজিস্ট্রেশনের জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হবে। এছাড়া দেশেও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, সরকারি কর্মচারি এবং ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের চিঠি পেয়ে রাতে আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।