News update
  • ‘Very unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Sunday morning     |     
  • Harassment, corruption shade Begum Rokeya University, Rangpur     |     
  • Sikaiana Islanders Face Rising Seas and Uncertain Future     |     
  • BD Election Commission to begin political dialogue this week     |     
  • Climate summit hears countries suffering from global warming      |     

যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের আপিল প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2025-08-25, 9:07am

img_20250825_090510-d20ee7e4b7a79f5c6f43fc8abe2782e71756091225.jpg




আশ্রয়প্রার্থীদের আপিল প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। মূলত হোটেল নির্ভরতা কমাতে এবং অপেক্ষমাণ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, একটি স্বাধীন সংস্থা গঠন করা হবে যেখানে স্বতন্ত্র বিচারকরা আশ্রয়প্রার্থীদের মামলার শুনানি দ্রুত সম্পন্ন করবেন। 

হোম সেক্রেটারি ইভেট কুপার বলেন, অ্যাসাইলাম মামলার ক্ষেত্রে দেরি মেনে নেয়া যায় না। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিচ্ছি।

যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩২ হাজার আশ্রয়প্রার্থী বর্তমানে বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন। এ ধরনের হোটেলগুলো অ্যাসাইলাম হোটেল নামে পরিচিত। তবে হোটেল নির্ভরতা নিয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। মন্ত্রীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বর্তমান মেয়াদের মধ্যেই এসব হোটেল বন্ধ করে দেয়া হবে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয় আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির হার বাড়লেও প্রত্যাখ্যাত আবেদনকারীদের আপিলে গড়ে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৫১ হাজার আপিল মামলার রায় অপেক্ষমাণ। করদাতাদের অর্থে এ সময়ে তাদের ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে। এজন্যই দ্রুত রায় দেয়ার জন্য নতুন স্বাধীন প্যানেল গঠনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

রাজনৈতিক দলগুলো এ নিয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছে। কনজারভেটিভ পার্টি বলছে, বর্তমান ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল, আর রিফর্ম ইউকে দাবি করেছে, অবৈধ বা অনিয়মিত পথে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের গণহারে বহিষ্কার করতে হবে। সম্প্রতি আশ্রয়প্রার্থীদের হোটেলে রাখা নিয়ে জনঅসন্তোষ বেড়ে গেছে এবং বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।

হোম অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের তিন শতাধিক স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে বর্তমানে ১৩১ এলাকায় আশ্রয়প্রার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার অধিকাংশই হোটেল। এর মধ্যে ৭৪টি লেবার পার্টির, ৩০টি লিবারেল ডেমোক্র্যাটের, ১৯টি কনজারভেটিভের, ৯টি গ্রিন পার্টির এবং একটি রিফর্ম ইউকের নিয়ন্ত্রণাধীন।

সরকার জানিয়েছে, এবারের শরতেই আশ্রয় মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। সূত্র : বিবিসি