News update
  • UN Launches $33 Billion Appeal to Aid 135 Million People     |     
  • CA urges united efforts to stop food contamination voicing concern     |     
  • Tarique obliquely slams Jamaat for ‘propaganda’ against BNP echoing AL     |     
  • Medical team hopeful about Khaleda’s recovery in Bangladesh     |     
  • Beanibazar green cover shrinks, migratory birds disappear     |     

দর্শনার্থীদের জন্য ফেরাউনের কবর উন্মুক্ত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2025-10-05, 1:33pm

teterte-f0a6b8345554e12442cdfb0dd2ed5f0c1759649599.jpg




দীর্ঘ দুই দশকের সংস্কার কাজ শেষে অবশেষে আবারও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো মিশরের ভ্যালি অব দ্য কিংস বা ‘রাজাদের উপত্যকা’-তে অবস্থিত অন্যতম বৃহৎ সমাধি। এটি প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের প্রভাবশালী শাসক ফেরাউন আমেনহোটেপ তৃতীয়ের সমাধি, যিনি খ্রিস্টপূর্ব ১৩৯০ থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত নীলনদের তীরবর্তী সভ্যতা শাসন করেছিলেন।

লুক্সরের পশ্চিম তীরে পাহাড় কেটে নির্মিত এই সমাধিটি প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৭৯৯ সালে দুইজন ইউরোপীয় অভিযাত্রীর মাধ্যমে। তবে, আবিষ্কারের পরপরই সমাধির ভেতরের ধনরত্ন ও মূল্যবান নিদর্শন, এমনকি সোনার কফিনটিও লুট হয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছে মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিক কর্তৃপক্ষ।

গত দুই দশক ধরে জাপানি প্রত্নতত্ত্ববিদদের নেতৃত্বে তিন ধাপে পরিচালিত হয়েছে সমাধিটির পুনর্নির্মাণ প্রকল্প। এই সময়ে সমাধির দেয়ালে অঙ্কিত আমেনহোটেপ ও তার স্ত্রীর চিত্রকর্মগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়। মিশরের সর্বোচ্চ প্রত্নতাত্ত্বিক পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, এটি সত্যিই এক বিস্ময়কর সমাধি। এখানে এখনও চুরি হওয়া কফিন বাক্সের ফ্রেম রয়েছে, যার ঢাকনাটি সঠিক জায়গাতেই স্থাপিত আছে।

সমাধির প্রবেশপথটি প্রায় ১১৮ ফুট দীর্ঘ ও ৪৫ ফুট গভীর ঢালু করিডর, যা সরাসরি নিয়ে যায় ভেতরের প্রধান কবরকক্ষে। এখানে রয়েছে ফেরাউনের সমাধিক্ষেত্র ছাড়াও তার স্ত্রী রানী টিয়ে ও সিতামুনের জন্য দুটি আলাদা কক্ষ। অন্যান্য প্রাচীন সমাধির মতো এটি পুরোপুরি সজ্জিত না হলেও দেয়ালে আমেনহোটেপকে মিশরীয় দেবতাদের সঙ্গে অঙ্কিত দেখা যায়। মূল কবরকক্ষে রয়েছে ‘বুক অব দ্য ডেড’-এর দৃশ্যসম্বলিত শিলালিপি, যেখানে মৃতদের পরকালের যাত্রার জন্য প্রার্থনা ও মন্ত্র খোদাই করা হয়েছে।

ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইজিপশিয়ান সিভিলাইজেশনের তথ্যমতে, আমেনহোটেপ তৃতীয়ের মমি পরবর্তীতে প্রাচীন পুরোহিতেরা তার দাদা আমেনহোটেপ দ্বিতীয়ের সমাধিতে স্থানান্তর করেছিলেন। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত সেই মমিটি কায়রোর ওই জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে, যেখানে আরও ১৬ জন প্রাচীন রাজা-রানীর মমি প্রদর্শিত হচ্ছে।

আমেনহোটেপ তৃতীয়, যিনি ইতিহাসে ‘আমেনহোটেপ দ্য গ্রেট’ নামে পরিচিত, কৈশোরে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং টানা প্রায় ৩৮ বছর মিশর শাসন করেন। তার শাসনামলকে প্রাচীন মিশরের অন্যতম সোনালি অধ্যায় হিসেবে গণ্য করা হয়।

সমাধিটির পুনরায় উদ্বোধন হলো গিজার পিরামিড সংলগ্ন গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে। আগামী ১ নভেম্বর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বিশ্বের বৃহত্তম এই প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর।আরটিভি