ছবি- মোর্শেদ মিশু
সাফের নতুন চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সানজিদা-কৃষ্ণা রানিদের মাথায় উঠেছে প্রথমবারের মতো শিরোপার মুকুট। বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য অনেক বড় অর্জন এটি।
তাই তো চাওয়া পাওয়া থাকতেই পারে সাফের নতুন রানীদের। চাওয়া-পাওয়াটাও খুব বেশি কিছু নয় সানজিদাদের। দলকে চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম খেলোয়াড় জোড়া গোল পাওয়া কৃষ্ণা রানি অপেক্ষায় রয়েছেন ছাদখোলা বাসে শিরোপা উদযাপনের।
কৃষ্ণা রানি ফেসবুকে ছাদখোলা বাসে শিরোপা উদযাপনের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এমন মুহূর্তের অপেক্ষায়।’
ফাইনালের মঞ্চে নামার আগের দিন দলের অন্যতম খেলোয়াড় সানজিদা ফেসবুকে লেখেন, ‘যারা আমাদের এই স্বপ্নকে আলিঙ্গন করতে উৎসুক হয়ে আছেন, সেই সকল স্বপ্ন সারথিদের জন্য এটি আমরা জিততে চাই। নিরঙ্কুশ সমর্থনের প্রতিদান আমরা দিতে চাই। ছাদ খোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনী কে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই। আমাদের এই সাফল্য হয়তো আরও নতুন কিছু সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া পেতে সাহায্য করবে। অনুজদের বন্ধুর এই রাস্তাটুকু কিছু হলেও সহজ করে দিয়ে যেতে চাই।’
তার এমন লেখা হৃদয় ছুঁয়ে যায় দেশের লাখো-কোটি ফুটবল ভক্তের। তার ছাদখোলা বাসে শিরোপা নিয়ে মেতে ওঠার আবদারে সূর মিলিয়েছে অনেকেই।
ম্যাচ শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ছাদখোলা বাসের শিরোপা উদযাপনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে সানজিদা ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, তারা বিজয়ী হলে হয়তো ছাদখোলা কোনও বাসে তাদের ট্রফি নিয়ে আসা হবে না। তার সে আক্ষেপ দেখে আমাদের অন্তরে ব্যথা লেগেছে। আমাদের দেশে যদিও ছাদখোলা কোনও বাস নেই ঢাকায়। তারপরও আমরা তাদের জন্য একটা ব্যবস্থা করেছি। তাদেরকে ছাদখোলা বাসে বিমানবন্দর থেকেই সংবর্ধনা আমরা দেব। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবন পর্যন্ত তাদের আমরা নিয়ে যাব। তাদের মনের আশা পূরণ করব।’
বাফুফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে নেপাল থেকে দেশে ফিরবেন সাবিনারা। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।