News update
  • Logi-boitha of 2006 was the 1st reflection of Hasina’s fascism: Rizvi     |     
  • Economists express concern over bank merger; BB remains confident     |     
  • No response on request for Hasina’s extradition: Touhid Hossain     |     
  • Deep relations with US, economic ties with China: Touhid     |     
  • Recommendations on July Charter implementation submitted to CA     |     

বাফুফে সভাপতির ১৪ বছর, কি পেল বাংলাদেশের ফুটবল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফুটবল 2023-01-03, 9:36am

resize-350x230x0x0-image-205694-1672700542-12f20ef5f68a23ff35a692b3c425bff71672716989.jpg




২০০৮ সালে প্রথম দফায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি হয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। তারপর থেকে তিনি এখনও সেই একই পদে আছেন। তার আসন পরিবর্তন না হলেও ফুটবলে কোনো উন্নতি হয়নি। বরং বাংলাদেশের এই খেলার উন্নয়নের জন্য দায়বদ্ধ এই ব্যক্তির সময়কালে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের অবস্থানের চরম অবনতি হয়েছে। তিনি যখন সভাপতি হন তার আগের বছর অর্থাৎ ২০০৭ সালে বাংলাদেশ ফুটবলের বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং ছিল ১৫১, এখন হয়েছে ১৯২।

বিশ্ব ফুটবলে বাংলাদেশের যখন অবনতির ধারাবাহিকতা চলছে তখন ফুটবলের এই অভিভাবকের যেন কোনো বিকারই নেই। তার এই ১৪ বছরে ফুটবলের উন্নয়নে নানা কর্মকাণ্ড চোখে পড়লেও কার্যত সেগুলো কোনো কাজেই আসেনি। বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা সাক্ষী হয়েছে তাদের প্রিয় এই খেলাটির অবনমনের। স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরে ফুটবলে সবচেয়ে বেশি বাজেট পেয়েও তার সময়কালে এর তেমন কোনো উন্নয়ন চোখে পড়েনি।

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের যে পরিমাণ আবেগ ছিল তা পরবর্তী সময়ে ক্লাব পর্যায়ে খেলাগুলোতে দেখা গেছে। বিশেষ করে আবাহনী-মোহামেডানের খেলা হলে স্টেডিয়াম দর্শকে পরিপূর্ণ হওয়ার ঘটনা এখন বিষ্মৃত। গোটা কয়েক দর্শক নিয়ে মাঠে ফুটবল খেলা চলে এখন। ফুটবলের এ জনপ্রিয়তার হারিয়ে যাওয়ার জন্য আসলে দায়ী কে বা কারা? এর উত্তর অনেকদিন ধরেই যখন খোঁজা হচ্ছে তখন বাফুফের গত ১৪ বছর সভাপতির পদে থাকা কাজী সালাউদ্দিনের দম্ভ এতটুকুও কমেনি। বরং মাঝে মাঝেই তাকে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায়। যেমনটা হয়েছে সাম্প্রতিক একটি অনুষ্ঠানে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) ৬০ বছর পূর্তির আয়োজনে সংগঠনটি দেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরে সেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত করেছে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। যেখানে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন বর্তমান বাফুফে এবং সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক ফুটবলার কাজী মো. সালাউদ্দিন। কিন্তু সে পুরস্কার ক্ষোভের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।

শুধু প্রত্যাখ্যান করেই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি। তাকে প্রথম না করে সাকিবকে নির্বাচিত করায় তিনি ক্ষোভের বশে বাফুফের সভা ডেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।

আগেই বলা হয়েছে ২০০৮ সালে প্রথমবার সভাপতি হয়েছেন। তারপর একের পর এক বাফুফের নির্বাচনে জেতা যেমন সবার দৃষ্টি কেড়েছে তেমনি তার সময়েই ধীরে ধীরে ফুটবলের অবনমন হতাশও করেছে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের ফুটবলে র‌্যাঙ্কিং ছিল ১৫১। তার পরের বছর মেজর জেনারেল (অব) আমিন আহমেদ চৌধুরীকে হারিয়ে বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। বাফুফের ক্ষমতায় তার বসার পর থেকে বাংলাদেশের ফুটবল আর উন্নতির মুখ দেখেনি। তার নির্বাচিত হওয়ার বছরে ফিফা র‌্যাঙ্কিং ছিল ১৬৮। তারপর ১০১৬ সালে সবচেয়ে খারাপ গেছে র‌্যাঙ্কিংয়ে (তখন তাই বলা হচ্ছিল)। তখন অবস্থান ছিল ১৮২। কিন্তু সে খারাপ অবস্থা আর কাটেনি বরং বেড়েছে। তারপরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ তে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়ায় ১৯৭ এ। সবশেষ ডিসেম্বরে প্রকাশিত ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২।

ফুটবলার হিসেবে তিনি যে খুব ভাল ছিলেন তাতে কারও সন্দেহ নেই কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ফুটবলের যে অবনমন সে বিষয়ে বাফুফের সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।