বাংলাদেশ নারী দলের ফুটবলাররা। ছবি : বাফুফে
বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের ফুটবলাররা হঠাৎ করে যেন ঘটালেন বিস্ফোরণ। সংবাদ সম্মেলন করে হুমকি দিলেন অবসরের। যা নিয়ে এখন ফুটবলপাড়ায় আলোচনা তুঙ্গে। জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ সিনিয়র প্রায় ১৮ জন ফুটবলার একটি বক্তব্যে স্বাক্ষরও করেন।
গত ৩০ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ নারী দলের ফুটবলাররা জানিয়েছেন, তারা বাটলারের অধীনে খেলবে না। বাটলারের অধীনে গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে বাংলাদেশ। তখনই প্রকাশ্যে আসে, তার সঙ্গে ফুটবলারদের ঝামেলার বিষয়টি। সিনিয়র ফুটবলারদের প্রতি বাটলারের ক্ষোভ সে সময় আলোচনায় এলেও সাফ জয়ে তা আড়ালে পড়ে যায়। সম্প্রতি বাটলারের সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন জানান, বাটলার দায়িত্বে থাকলে তারা সসম্মানে অবসর নেবেন।
এসবের প্রেক্ষিতে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল দ্রুত গঠন করেন সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি। ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানের নেতৃত্বে এই কমিটি শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) একটি সভার আয়োজন করে। সভা শেষে সিদ্ধান্ত হয় তারা বাফুফের নারী বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসবে এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলবে। যে কারণে গণঅবসরের চিঠিতে সই করা ১৮ জনকেই তলব করা হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারী উইংয়ের সঙ্গে বাফুফের বিশেষ কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকতে ইতোমধ্যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে সেই ১৮ জন ফুটবলারকে। এই ১৮ জন হলেন–সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রাণী সরকার, মারিয়া মান্দা, মাসুরা পারভীন, সানজিদা আক্তার, মণিকা চাকমা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, সুমাইয়া, রুপনা চাকমা, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার জুনিয়র, নিলুফার ইয়াসমীন নীলা, স্বর্ণারাণী মণ্ডল, সাথী বিশ্বাস, সাগরিকা ও নাসরিন আক্তার।