News update
  • Action urgently needed to stop rise in child trafficking - UN report     |     
  • On Women’s Day, Palestinian Women Fight for Survival      |     
  • UN launches gender equality plan: ‘We’re at a turning point’     |     
  • Stock market maintain upward momentum in Dhaka, Chattogram     |     
  • Shapla Chattar Mass Killing: Arrest warrants for Hasina, 4 others     |     

ইয়ামাল-রাফিনিয়ার রেকর্ড, কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফুটবল 2025-03-12, 6:48am

img_20250312_064453-563aad1a93ca5f480c6c343585594d821741740497.jpg




১৭ বছর বয়সী তারকা স্পেনিশ ফরোয়ার্ড ইয়ামাল ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার রেকর্ডে ভর করে বেনফিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে সবার আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। 

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দুই ফরোয়ার্ডের রেকর্ডের রাতে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে বেনফিকার বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়লাভের ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় পরের ধাপে পৌঁছে গেছে বার্সেলোনা। এবার সেমি ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাঁচবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ হবে বুধবার ডর্টমুন্ড-লিলের মধ্যকার জয়ী দল। 

বেনফিকা-বার্সেলোনার এই ম্যাচের উল্লেখযোগ্য দিক হলো- সবকটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। রাফিনিয়া বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেওয়ার পরপরই সমতা ফেরান নিকোলাস ওতামেন্দি। ইয়ামাল দলকে ফের লিড এনে দেওয়ার পর নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাফিনিয়া। আসরে বেনফিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচে রাফিনিয়া গোল করলেন পাঁচটি। প্রথম পর্বের দেখায় জোড়া গোলের পর শেষ ষোলোর প্রথম লেগে করেছিলেন একটি।

শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের গোটা ম্যাচে ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য বার্সেলোনা শট নেয় ২০টি, যার ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। প্রথমার্ধে স্রেফ একটি শট নিতে পারা বেনফিকা সব মিলিয়ে ৮ শটের ২টি লক্ষ্যে রাখতে পারে। প্রথমার্ধের দশম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় বার্সেলোনা। বক্সের ভেতর থেকে রবের্ত লেভানদোভস্কির শট অনায়াসে ঠেকান গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিন। যদিও গোলের শুরুটা হয় ১১তম মিনিটে। বেনফিকার কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ে বল অন্য প্রান্তে পাঠান ইয়ামাল। অরক্ষিত রাফিনিয়া ভলিতে বল জালে পাঠাতে একটুও দেরি করেননি। এটি ছিল এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্রাজিলিয়ান তারকার দশম গোল। 

তবে জবাব দিতে অবশ্য দেরি করেনি বেনফিকা। ত্রয়োদশ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে সমতা টানেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ওতামেন্দি। গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন, বল তার হাতে লেগে জালে জড়ায়। ২০১৭ সালের ১ নভেম্বরের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলের দেখা পেলেন ৩৭ বছর বয়সী ওতামেন্দি। সেবার ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে নাপোলির জালে বল পাঠিয়েছিলেন তিনি।

ইয়ামালের নজরকাড়া গোলে ২৭তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার ক্রস ধরে ডান দিকে একজনের বাধা এড়িয়ে বক্সের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসেন তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গার। এরপর জায়গা বানিয়ে নেওয়া শটে বল বাঁক খেয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে খুঁজে পায় ঠিকানা। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি। ১৭ বছর ২৪১ দিন বয়সে খেলতে নেমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় এখন তিনিই। ইয়ামাল ভেঙেছেন ২০১৪ সালে এফসি বাসেলের হয়ে ব্রিল এমবোলোর ১৭ বছর ২৬৩ দিন বয়সে গোল ও অ্যাসিস্টের রেকর্ড।

৪১তম মিনিটে লেভানদোভস্কির আরেকটি প্রচেষ্টা ঠেকান গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ান রাফিনিয়া। ডিফেন্ডার আলেহান্দ্রো বাল্দে নিজেদের অর্ধ থেকে বল ধরে এগিয়ে পাস দেন বক্সে, বাঁ পায়ের কোনাকুনি নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ২৮ বছর বয়সী তারকা।

এই ম্যাচ শেষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক আসরে ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলের কীর্তি গড়লেন রাফিনিয়া। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০ ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড  রাফিনিয়ার গোল হলো ১১টি। সঙ্গে অ্যাসিস্ট ৫টি। বার্সেলোনার হয়েই ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে রিভালদো ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে নেইমার করেছিলেন ১০ গোল। প্রতিযোগিতাটির এক আসরে বার্সেলোনার হয়ে রাফিনিয়ার চেয়ে বেশি গোলে সম্পৃক্ত থাকতে পেরেছেন কেবল একজন- কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (২০১১-১২ মৌসুমে ১৪ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট)।

এদিকে, দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে আধিপত্য ধরে রাখে বার্সেলোনা। ৬৫তম মিনিটে দারুণ সুযোগ হারান ফ্রেংকি ডি ইয়ং। সতীর্থকে পাস দিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি, জুল কুন্দের পাসে দূরের পোস্টে স্লাইডে বল জালে পাঠাতে পারেননি ডাচ মিডফিল্ডার। বেনফিকা ৬৬তম মিনিটে নেয় দ্বিতীয় শট। পাভলিদিসের ওই প্রচেষ্টা অনায়াসে ঠেকিয়ে দেন স্ট্যান্সনি। ৭০তম মিনিটে জোড়া পরিবর্তন আনেন বার্সেলোনা কোচ; লেভানদোভস্কি ও দানি ওলমোকে তুলে মাঠে নামান ফেররান তরেস ও গাভিকে। খানিক পর ফ্রি-কিকে বল উড়িয়ে মারেন তরেস। এতে দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল ছাড়াই ম্যাচ শেষ। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানের জয়েই শেষ আটের টিকিট হাতে নিয়েছে বার্সেলোনা।

আরটিভি