উয়েফা নেশন্স লিগের শেষ আটের প্রথম লেগে ডেনমার্কের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল পর্তুগাল। সেমিতে উঠতে হলে দ্বিতীয় লেগে অন্তত এক গোলে এগিয়ে থেকে জিততে হতো তাদের। ম্যাচটি পর্তুগাল জিতেছে ঠিকই। তবে অতিরিক্ত সময়ে। নির্ধারিত সময়ে ৩-২ গোলে জয়ের পরও ম্যাচটি অ্যাগ্রিগেডে সমান ছিল। তাই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত ৫-২ গোলে জয় নিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে পর্তুগাল।
প্রথম লেগে ডেনমার্কের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের পর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বলেছিলেন, দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়াবে তার দল। আর হয়েছেও সেটা। রোববার (২৩ মার্চ) লিসবনে ডেনমার্ককে হারিয়ে নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো পর্তুগাল। তবে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে রোনালদোর পেনাল্টি সেভ করে দেন ডেনমার্কের গোলরক্ষক। তবে লিড পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। ৩৮ মিনিটে অ্যান্ডারসেনের গোলে দুই লেগ মিলিয়ে সমতায় ফেরে সেলেকাওরা।
তবে দ্বিতীয় হাফে আবারও গোল করে দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। ৫৬তম মিনিটে ক্রিস্টেনসেন গোল করেন ডেনমার্কের হয়ে। ম্যাচের ৭২ মিনিটে রোনালদো গোল করে পর্তুগালকে আবারও লিড এনে দেন। যা ক্যারিয়ারে তার ৯২৯তম গোল। তবে এরপরও নাটকের বাকি ছিল। ৭৬ মিনিটেই এরিকসেনের গোলে আবারও সমতায় ফেরে ডেনমার্ক। এর পলের পর মনে হচ্ছিল ম্যাচটি ফসকে যাচ্ছে পর্তুগালের হাত থেকে।
তবে নাটকের শেষ তখনও বাকি ছিল। ৮৬তম মিনিটে পর্তুগালের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ফ্রান্সিসকো ট্রিনকাও। নির্ধারিত সময় শেষে ম্যাচটি ৩-২ গোলে জয় পেলেও দুই মেগ মিলিয়ে ৩-৩ সমতা থাকায় তা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর এই অতিরিক্ত সময়েই বাজিমাত করে পর্তুগাল।
নির্ধারিত সময় শেষের আগেই রোনালদোকে উঠিয়ে নেন কোচ। তার বদলি হিসেবে নামে গোনকালো রামোস। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটেই আবারও বল জালে জড়ান ট্রিনকাও। আর ১১৫তম মিনিটে ডেনমার্কের কফিনে শেষ পেরেকটি ঢোকান রোনালদোর বলদি হিসেবে নামা রামোস। ৫-৩ গোলে জয় নিয়ে নেশন্স লিগের সেমিফাইনালের টিকিট কাটে পর্তুগাল। সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ জার্মানি।
জার্মানি ৩-৩ ইতালি
প্রথম লেগে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফেরা জার্মানি ঘরের মাঠে ইতালির সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে। প্রথম হাফে তিন গোলে এগিয়ে গেলেও, দ্বিতীয় হাফে তিন গোল হজম করে তারা। তবে প্রথম লেগের জয়ই ব্যবধান গড়ে দেয়। সিগনাল ইদুনা পার্কে জার্মানির হয়ে গোল করেন কিমিচ, মুসিয়ালা এবং ক্লেইন্ডিয়েনস্ট। বিপরীতে ইতালির হয়ে জোড়া গোল করেন কিন। আর বাকি গোলটি আসে রাসপাদোরির পা থেকে।